প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: বাসকর্মীকে (Bus Worker Beaten In Nadia) মারধরের অভিযোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করে (Bus Owners Association On Indefinite Strike In Nadia) দিয়ে বিক্ষোভ দেখাল বাস মালিক সমিতি। নদিয়ার পলাশী পাড়ার (Nadia News) সাহেবনগরের ঘটনা। বাসকর্মীকে মারধরের আপাতত বেতাই-পলাশী এবং পলাশী পাড়া-কৃষ্ণনগর রুটের সমস্ত বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে  বাস মালিক সমিতি। 


কী জানা গেল?
অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে অটো চালকরা অবৈধভাবে এই রুটে অটো চালাচ্ছেন। বিষয়টির প্রতিবাদ করলেই হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বাস কর্মীদের, এমনও অভিযোগ রয়েছে। আজ, অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে একই ভাবে অটোয় যাত্রী তুলছিলেন এক চালক। সেই সময় এক বাস কর্মী তাঁকে বাধা দিলে ওই কর্মীকেই বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শেষে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে পলাশীপাড়া প্রীতিময়ী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে জখম বাসকর্মীকে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হয় বলে খবর। এর পরই পলাশীপাড়া বাস মালিক সমিতির উদ্যোগে পলাশীপাড়ার সমস্ত বাস চালানো বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরে পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠলেও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন বাস মালিকরা। এই রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকলে সমস্যায় পড়বেন কয়েক লক্ষ মানুষ। শুধু তাই নয়, আজ হঠাৎ বাস বন্ধ হয়ে রাস্তায় যাওয়ায় আটকে পড়েছেন অসংখ্য যাত্রী ও পরীক্ষার্থী। তাঁদের দুর্ভোগ চরমে। গত মাসে কিছুটা এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বড় অংশে।


বন্ধ বাস, মিনিবাস পরিষেবা...
অবৈধ যানের চলাচল ও পুলিশি জুলুমের অভিযোগের বিরুদ্ধে সে বার প্রায় হাজারের কাছাকাছি বাস ও মিনিবাস বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। হাতে গোনা সরকারি বাস ছিল বটে, কিন্তু তাতেও গাদাগাদি ভিড়। জয়েন্ট কমিটি অফ বাস অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা শাখার তরফে অভিযোগ করা হয়, সুন্দরবন ও ডায়মন্ড হারবারে অবাধে চলাচল করছে পারমিটহীন অটো, টোটো, ট্রেকার। এছাড়াও, পুলিশি জুলুমের অভিযোগ তোলেন বাস মালিকরা তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় অবৈধ যানে যাত্রী পরিবহন চলছে। যার ফলে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে বাস ও মিনিবাসগুলিকে। বারে বারে প্রশাসন ও আরটিওকে জানিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি। প্রশাসন যদি দাবি না মানে, লাগাতার বাস বন্ধ রেখে আন্দোলন চলবে,এও জানান তাঁরা। সব মিলিয়ে তীব্র ভোগান্তির মুখে পড়েন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বড় অংশের বাসিন্দা।


আরও পড়ুন:আপাতত বৃষ্টিহীন মহানগর, আর কী বলছে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস?