কলকাতা : ২০১৫ সালের থেকে কলকাতা পুরভোটে(KMC Election 2021) আরও ক্ষমতা বাড়াতে চলেছে তৃণমূল। আসন বেশি পেতে পারে বিজেপিও। সি ভোটার এক্সিট পোল(C-Voter Exit Poll) তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
দুপুর ৩টে পর্যন্ত সি ভোটারের সমীক্ষা যে হিসেব দিচ্ছে সেই অনুযায়ী, তৃণমূল পেতে পারে ১৩১টি আসন। অর্থাৎ একক সংখ্যা গরিষ্ঠতার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ১৩টি আসন। তবে বাম বা কংগ্রেস খাতা খুলতে পারবে না বলে উঠে এসেছে সমীক্ষায়।
২০১৫ সালে এই ফিগারটা ছিল- তৃণমূল পেয়েছিল ১১৩টি আসন, বিজেপি ৭টি, বামেরা ১৬টি ও কংগ্রেস ৫টি আসন পেয়েছিল।
দুপুর তিনটে পর্যন্ত সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, কলকাতা পুরসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস পেতে পারে ৫৯ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেতে পারে ২৮ শতাংশ ভোট। বামফ্রন্ট পেতে পারে ৫ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস পেতে পারে ৬ শতাংশ ভোট। অন্যান্যরা পেতে পারে ২ শতাংশ ভোট।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভায় (KMC Election 2021) মোট ওয়ার্ড ১৪৪টি। ম্যাজিক ফিগার ৭৩। মোট ৪ হাজার ৯৫৯টি বুথে ভোটগ্রহণ হয়েছে। তবে, ভোটগ্রহণ ঘিরে আজ সকাল থেকেই অশান্তির ছবি ধরা পড়ল বিভিন্ন এলাকায়। আজ বড়বাজারে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মারোয়াড়ি বালিকা বিদ্যালয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশকে ঠেলে বুথে ঢুকে তাণ্ডব চালায় বহিরাগতরা। ইভিএম খারাপ করে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন প্রিসাইডিং অফিসার। এদিন বুথের মধ্যে তাণ্ডব দেখে দরজা বন্ধ করে ভয়ে কাঁপছিলেন ভোটাররা।
যদিও তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী বিজয় ওঝার মদতে ছাপ্পা ভোট চলছিল। বিজেপি প্রার্থীর পাল্টা দাবি, বুথের ভিতরে ঢুকে গন্ডগোল পাকায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। গোলমালের জেরে আপাতত বন্ধ ভোটগ্রহণ। বুথ দখলের অভিযোগ ওড়াল কমিশন।
আরও পড়ুন ; অনায়াসে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা, ১৩১টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরছে তৃণমূল : সি ভোটারের সমীক্ষা
আজ সকালে জোড়াবাগান এলাকায় কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিতকে হেনস্থা, পোশাক ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নির্দল প্রার্থীদের মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে।
ক্রিস্টোফার রোডে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী চন্দন দাসকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, সিসি ক্যামেরা বিকল খবর পেয়ে বুথে ঢুকতে গেলে ধাক্কাধাক্কি করেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল প্রার্থী সন্দীপন সাহা।
১০২, ১০৯, ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি বুথে বাম এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের তরফে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।