কলকাতা : কলকাতা পুরসভার ক্ষমতায় ফের তৃণমূলের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা। সি ভোটারের সমীক্ষা(C-Voter Opinion Poll) অনুযায়ী, তৃণমূল পেতে পারে ১৩১টি আসন। অর্থাৎ একক সংখ্যা গরিষ্ঠতার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ১৩টি আসন। তবে বাম বা কংগ্রেস খাতা খুলতে পারবে না বলে উঠে এসেছে সমীক্ষায়। দুপুর ৩টি পর্যন্ত এই সমীক্ষা(এর সঙ্গে এডিটরিয়াল পলিসির কোনও সম্পর্ক নেই)।
কলকাতা পুরসভায় (KMC Election 2021) মোট ওয়ার্ড ১৪৪টি। ম্যাজিক ফিগার ৭৩। মোট ৪ হাজার ৯৫৯টি বুথে ভোটগ্রহণ হয়েছে। তবে, ভোটগ্রহণ ঘিরে আজ সকাল থেকেই অশান্তির ছবি ধরা পড়ল বিভিন্ন এলাকায়। আজ সকালে জোড়াবাগান এলাকায় কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিতকে হেনস্থা, পোশাক ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নির্দল প্রার্থীদের মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে।
আরও পড়ুন ; অনায়াসে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা, ১৩১টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরছে তৃণমূল : সি ভোটারের সমীক্ষা
ক্রিস্টোফার রোডে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী চন্দন দাসকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, সিসি ক্যামেরা বিকল খবর পেয়ে বুথে ঢুকতে গেলে ধাক্কাধাক্কি করেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল প্রার্থী সন্দীপন সাহা।
১০২, ১০৯, ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি বুথে বাম এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের তরফে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে টি বোর্ডের সামনে উত্তেজনা ছড়ায়। কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, বহিরাগতদের এনে ভোট দেওয়ানো হচ্ছিল। ভুয়ো ভোটার ধরে ফেলার দাবি করেন কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দেয় তৃণমূল।
জোড়াবাগান এলাকায় ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মুকুন্দ ঝাওয়ারকে মারধর, বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদিন সকালে আহিরীটোলা বঙ্গ বিদ্যামন্দিরে উত্তেজনা ছড়ায়। জোড়াবাগান থানায় অভিযোগ জানাতে যান বিজেপি প্রার্থী। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।