কলকাতা : আমি খুশি যে মানুষ শান্তিতে ভোট দিচ্ছেন। এটাই আমরা চাই। উৎসবের আবহেই ভোট হচ্ছে। আজ ভবানীপুরে মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিতে এসে কলকাতা পুরভোট নিয়ে এই প্রতিক্রিয়া জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


 



কিছু আগেই কলকাতা পুরভোটে অশান্তির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও অশান্তির ফুটেজ হাতে থাকলে সামনে আনার কথা বলেছেন তিনি। তৃণমূলের (TMC) কেউ জড়িত আছে প্রমাণ হলে ২৪ ঘণ্টায় দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মিত্র ইন্সস্টিটিউশনে (Mitra Institution) ভোট দেওয়ার পরে আশ্বাস দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 


তিনি বলেন, আমরা সবাই চাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হোক। যদিও কোথাও কোনও বিক্ষিপ্ত আকারে ঘটনা ঘটে থাকে, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কোনও ফুটেজ থাকলে প্রকাশ্যে আনতে অনুরোধ করব। যদিও প্রমাণিত হয় যে তৃণমূল কোথাও যুক্ত আছে তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংগঠনিক এবং প্রশাসনিক উভয় স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে এদিন বিরোধীদের কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, "ওরা জানে মানুষের হৃদয়ে ওদের কোনও স্থান নেই।'' 


আজ সকাল থেকেই মহানগরে ভোট ঘিরে একের পর এক অশান্তির অভিযোগ ওঠে। ক্রিস্টোফার রোডে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী চন্দন দাসকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, সিসি ক্যামেরা বিকল খবর পেয়ে বুথে ঢুকতে গেলে ধাক্কাধাক্কি করেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল প্রার্থী সন্দীপন সাহা।  


আরও পড়ুন ; "তৃণমূলের কেউ জড়িত আছে প্রমাণ হলে ২৪ ঘণ্টায় দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা,'' আশ্বাস অভিষেকের


 কালে জোড়াবাগান এলাকায় কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিতকে হেনস্থা, পোশাক ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নির্দল প্রার্থীদের মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। 


১০২, ১০৯, ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি বুথে বাম এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের তরফে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। 


৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে টি বোর্ডের সামনে উত্তেজনা ছড়ায়। কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, বহিরাগতদের এনে ভোট দেওয়ানো হচ্ছিল। ভুয়ো ভোটার ধরে ফেলার দাবি করেন কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দেয় তৃণমূল।


জোড়াবাগান এলাকায় ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মুকুন্দ ঝাওয়ারকে মারধর, বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদিন সকালে আহিরীটোলা বঙ্গ বিদ্যামন্দিরে উত্তেজনা ছড়ায়। জোড়াবাগান থানায় অভিযোগ জানাতে যান বিজেপি প্রার্থী। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।