ঠাকুরনগর : পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর (Central Minister) গলায় সিএএ-হুঙ্কার (CAA)। "সিএএ আমাদের অধিকার, বাংলায় চালু করবই", বলে মন্তব্য করেন শান্তনু ঠাকুর।
তিনি বলেন, "বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সিএএ-র বিরোধিতা করছেন এবং ১৮০ ডিগ্রি বিপরীত দিকে যেভাবে বিষয়টিকে তুলে ধরছেন, এটাকে আমরা সমস্ত উদ্বাস্তু ও মতুয়া সমাজ, নমশূদ্র, রাজবংশী...যারা উদ্বাস্তুদের মধ্যে পড়ে তারা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে বঞ্চিত । এই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করে দিয়েছেন। সিএএ আমাদের অধিকার। সংবিধানে যখন সেটা সংসদে পাশ হয়ে গেছে, তখন কারও অধিকার নেই এভাবে প্রকাশ্যে সেই সংবিধানের বিরুদ্ধে কথা বলা। উনি যেটা বলছেন, সেটাও সংবিধান-বিরোধী কথা। ওঁর অধিকার নেই এনিয়ে কথা বলার। উনি রাজনীতি, দ্বিচারিতা করছেন। এই দ্বিচারিতা আমরা ভেঙে দেব। বাংলার ক্ষেত্রে কী হবে তা গৃহমন্ত্রণালয় চিন্তা করবে। এই সমস্ত বিষয় গৃহমন্ত্রণালয় বিচার করার পর, আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গে এটা চালু করব। এটা বাস্তব কথা। কেউ ঠেকাতে পারবে না। কারও ক্ষমতা নেই।"
পঞ্চায়েত ভোটের মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে আশ্বাস চলছেই বিজেপির তরফে (BJP)। দিনকয়েক আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar) সভা করেন ঠাকুরনগরে (Thakurnagar)। সেই সভায় অবশ্য অনুপস্থিত ছিলেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। যা নিয়ে কটাক্ষও করে তৃণমূল (TMC)।
নাগরিকত্ব আশ্বাস মতুয়াদের
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতিও ঠাকুরনগরে গিয়ে নাগরিকত্ব নিয়ে আশ্বাস দেন মতুয়াদের। বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে ফের শিরোনামে উঠে এসেছে সিএএ (CAA) ইস্যু। বিশেষ করে মোদি সরকার গুজরাতের (Gujrat) দুই জেলায় তিনটি দেশ থেকে আসা ৬ ধর্মের নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণার পর, বাংলায় CAA চালু করার দাবি আরও জোরাল হয়েছে।
ঠাকুরনগরের সভা থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, '২০২৪-এর আগে সিএএ চালু হবে। মুখ্যমন্ত্রী চাইলেও আটকাতে পারবে না। মতুয়াদের নাগরিকত্বের সঙ্গে সমঝোতা হবে না।' পাল্টা তৃণমূল নেত্রী ও প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, 'বিজেপি ভাঁওতা দিচ্ছে। ভোট আসলে নাগরিকত্বের কথা ভাবে। এতদিন রামমন্দির বলত এবার সিএএ, মতুয়ারা বুঝে গেছে ভাঁওতা।'
আরও পড়ুন ; ''২৪-এর আগে সিএএ চালু হবে, মুখ্যমন্ত্রী চাইলেও আটকাতে পারবে না', ঠাকুরনগরের সভায় দাবি সুকান্তর