সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : অতিরিক্ত শূন্যপদ মামলায় আদালতে অস্বস্তিতে কমিশন। ‘রাজ্য ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবস্থান এক না হলে কমিশন ভেঙে দেওয়া হোক’ বলেই মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। ‘শূন্যপদ নিয়ে রাজ্য ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবস্থান আলাদা কেন?’ প্রশ্ন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।
শূন্যপদ ঘিরে আলাদা অবস্থান
‘রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আদালতের নির্দেশ মেনে বঞ্চিতদের দেওয়া হবে নিয়োগ। সেখানে কমিশনের আবেদন, অবৈধ চাকরি পাওয়াদের পুনর্বহালের জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ’, কমিশনের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপের কথা ভাবছে রাজ্য, প্রশ্ন বিচারপতির। যার পরই ‘আবেদনের নির্দিষ্ট অংশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, প্রত্যাহার করা হতে পারে’, আদালতে জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
রাজ্যের ব্যাখ্যা তলব
আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের। যদিও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ, অবস্থান আলাদা যখন তখন স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওপর কি সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। তেমনটা হলে ভেঙে দেওয়া হোক কমিশন। রাজ্য কী পদক্ষেপ করছে বা ভাবছে সেটাই জানতে চেয়েছেন বিচারপতি।
ঠিক কোথায় আলাদা অবস্থান ?
গত ১৯ মে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছিল। বিভিন্ন শূন্যপদে নিয়োগের জন্য ৬৮২১ টি অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে। গ্রু সি, গ্রুপ ডি থেকে নবম-দ্বাদশ, শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষা বিভিন্ন ক্ষেত্রেই যোগ্য কিন্তু বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের জন্যই যে পদ তৈরি বলে দাবি সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে।
কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আদালতের নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছে তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে ওই পদে তাঁদের পুর্নবহালে অগ্রাধিকারের আবেদন করেছিল। যেখানে প্রাথমিকভাবে তিরস্কারের পর বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বক্তব্য, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের অন্য কাজের ব্যবস্থা করা হোক পরিবারের কথা ভেবে। তবে শিক্ষক হিসেবে কখনই নয়। কারণ তাহলে বঞ্চিত হবে শিক্ষার্থীরা।
সরকার অতিরিক্ত শূন্যপদে যোগ্য অথচ বঞ্চিতদের অগ্রাধিকারের কথা বললেও স্কুল সার্ভিস কমিশন তৈরি শূন্যপদে আদালতের নির্দেশে চাকরি যাওয়া প্রার্থীদের পুর্নবহালের কথা বলেই বিচারপতির রোষের মুখে পড়ে।
রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি প্রশ্ন ছুড়ে দেন, সরকারের নিয়ন্ত্রণে কি তাহলে নেই কমিশন। আর তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কমিশনের বক্তব্য ও অবস্থান আলাদা হওয়ার জেরে রাজ্য কী পদক্ষেপ করছে বা করার কথা ভাবছে, সেটাই শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
আরও পড়ুন- ৫ মাসে জিজ্ঞাসাবাদ মাত্র ১৬ জনকে! গ্রুপ ডি তদন্তে অসন্তুষ্ট আদালত, পুনর্গঠিত সিট