কলকাতা: জাতীয় পতাকার (Insult To The Honour Of National Flag) অবমাননার অভিযোগে স্বরাষ্ট্র সচিবের (Home Secretary) রিপোর্ট তলব করল প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। গত ১৫ অগাস্ট বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস হাইস্কুলে জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ ওঠে। এখনও পর্যন্ত ওই মামলায় ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


কী বললেন বিচারপতি? 
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, 'তাঁরা জেলে ৩ বেলা খাবার পাবেন, তার পর ৫ হাজার টাকার বন্ডে জামিন পেয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীর মতো ঘুরবেন এটা হয় না। জাতীয় পতাকার অবমাননা গ্রহণযোগ্য নয়।' সঙ্গে আরও বলেন, 'পুলিশ তদন্ত করে জানুক কেন এই ঘটনা ঘটেছে।' অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আগে থেকে কোনও মামলা রয়েছে কিনা, তাঁদের কোনও অপরাধের ইতিহাস রয়েছে কিনা, এ সবও এদিন জানতে চান প্রধান বিচারপতি? এই মুহূর্তে অভিযুক্তরা কোনও জেলে রয়েছেন, সে কথাও জানতে চান তিনি। জবাবে রাজ্য় জানিয়েছে, তাঁরা চুঁচুড়া জেলে বন্দি। শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'চুঁচুড়া খুব আরামদায়ক জায়গা। এঁদের মুর্শিদাবাদ বা মালদায় পাঠিয়ে দেব।' সঙ্গে নির্দেশ, 'সত্যি খুঁজে বের করুন ,রাজনীতির রং দেবেন না'।


২০২১ সালে একই অভিযোগ অন্যত্রও...
জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ ওঠে ২০২১ সালেও। সে বার নাম জড়িয়েছিল রাজ্যের এক প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। গাইঘাটার বাগনা এফ পি স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সূর্যাস্তের পর জাতীয় পতাকা নামাতে ভুলে গিয়েছিলেন স্কুলের শিক্ষকরা। স্থানীয়রা জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির ফলেই মধ্যরাত পর্যন্ত স্কুলে জাতীয় পতাকা তোলা ছিল।  খবর জানাজানি হতেই পেয়ে তড়িঘড়ি স্কুলের ছুটে আসেন শিক্ষকবন্ধু প্রণব কুমার দত্ত। তড়িঘড়ি পতাকা নামাতে গিয়ে পতাকা না নামিয়ে গোটা বাঁশটাকেই খুলে ফেলেন তিনি। এই ঘটনায় বিতর্ক আরও বাড়ে। খবর সংগ্রহ করতে ততক্ষণে স্কুলে পৌঁছন চিত্র সাংবাদিকরাও। কিন্তু তাঁদেরও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে ক্যামেরার সামনে জাতীয় পতাকার অবমাননার কথা স্বীকার নেন তিনি। সঙ্গে অবশ্য জানান, এর সম্পূর্ণ 'দোষ' প্রধান শিক্ষকের। শিক্ষকবন্ধু জানান যে জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে এটা ঠিক। প্রধান শিক্ষক তাঁকে প্রতিবারই বলে দেন। কিন্তু এ বছর উনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাঁকে ফোনে বলে দিলেও জাতীয় পতাকা নামিয়ে নিতে ভুল হয় তাঁর। 


আরও পড়ুন:অশ্লীল ভাষায় কবিতা, দিন-রাত দৌরাত্ম্য! আবাসিকদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্থানীয়দের