সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ফের সংঘাতের পরিবেশ কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এ বার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Manth) বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবকে চিঠি দিল বার অ্যাসোসিয়েশন (Bar Assocition)। বিচারপতি মান্থার বিচার্য বিষয় বদল করার আবেদন জানানো হল। রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে দায়ের একাধিক মামলা বিচারপতি মান্থা স্থগিত রাখছেন এবং তদন্তকারীদের কড়া পদক্ষেপ করতে বারণ করছেন বলে অভিযোগ বার অ্যাসোসিয়েশনের। বিচারপতি মান্থার এজলাসও বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশন। 


বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে একাধিক কারণ দেখিয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি


বৃহস্পতিবার বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে প্রধান বিচারপতিকে এই চিঠি লেখা হয়। বার অ্যাসোসিয়েশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বিচার্য বিষয় বদলের আবেদন জানানো হয়েছে চিঠিতে।তাতে অভিযোগ করা হয়েছে, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের খুন-সহ একাধিক জঘন্যতম মামলার তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। কোনও কোনও মামলায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপে তদন্তকারীদের বারণ করেছেন তিনি। এ ছাড়াও একাধিক কারণ দেখিয়ে  তাঁর বিচার্য বিষয় বদল করার আবেদন জানানো হয়েছে  প্রধান বিচারপতির কাছে। 


আরও পড়ুন: Calcutta High Court: ‘নম্বর বিভাজন-সহ তালিকা মেলেনি' পর্ষদের পেশ করা নথি ফেরালো হাই কোর্ট


উল্লেখ্য, বুধবারই বিচারপতি মান্থার বিচার্য বিষয় বদল করা হয়। শিক্ষা থেকে সরিয়ে পুলিশি নিস্ক্রিয়তা এবং পুলিশের অতিসক্রিয়তা সংক্রান্ত মামলার শুনানির ভার তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। সেই মতো বৃহস্পতিবার নয়া বিচার্য বিষয় নিয়েই কাজ শুরু করেন বিচারপতি মান্থা। আর এ দিনই তাঁর বিচার্য বিষয় বদলের দাবি জানিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি গেল বার অ্যাসোসিয়েনের তরফে। 


বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত


সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা জরুরি বৈঠক করেন। সেখানেই প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি ঠিক হয়। একই সঙ্গে বিচারপতি মান্থার এজলাসও বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। 


এর আগে, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি করতে দেখা গিয়েছে বিচারপতি মান্থাকে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ইউনিয়ন রুমের তালা ভাঙার নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনিই। জোর করে ইউনিয়ন রুম দখল করার অভিযোগ ওঠে কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে শুরু হয় গোষ্ঠী কোন্দলও। জোর করে এক গোষ্ঠী তালা ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। মামলা আদালতে পৌঁছলে তালা ভাঙার নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা।