সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার রাজ্যকে তাদের নিয়ে গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। ২৯ মার্চের মধ্যে গাইডলাইন তৈরি করে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ: বাঁকুড়ায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের পড়ানো নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য পুলিশের আইজিকে ২৯ মার্চের মধ্যে তা আদালতে জমা দিতে বললেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, রাত ২টোর সময় রাজকুমার শর্মা নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে সরশুনা থানার বিরুদ্ধে। এখনও ওই যুবক নিখোঁজ রয়েছেন। অভিযোগ, পুলিশ সঙ্গে গেলেও ১ জন সিভিক ভলান্টিয়ার ওই যুবককে তুলে নিয়ে যায়। এই প্রেক্ষাপটে আদালতের দ্বারস্থ হয় নিখোঁজের পরিবার। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল। আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেন,আমতায় আনিস খানে ঘটনাতেও ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল।                                                                             


বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চান, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা কী? কোন কোন কাজে ব্যবহার করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ারদের? সব পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর, রাজ্য পুলিশের আইজিকে বিচারপতি নির্দেশ দেন, ২৯ মার্চের মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে গাইডলাইন তৈরি করে আদালতে জমা হবে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর, ২০১২ সালে চুক্তিভিত্তিক সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়। সূত্রের দাবি, রাজ্য পুলিশে বর্তমানে ১ লক্ষ ৭ হাজার ১৫ জন সিভিক ভলান্টিয়াররা রয়েছেন। লালবাজার সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশ এলাকায় রয়েছেন ৬ হাজার ৯৩২ জন সিভিক ভলান্টিয়ার। বিভিন্ন সময়, সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের এক্তিয়ার বর্হিভূত কাজ, দাদাগিরি, জুলুমবাজির অভিযোগ উঠেছে।এমনকী, আমতার ছাত্র নেতা আনিস খানের মৃত্যুর নেপথ্যেও সিভিক ভলান্টিয়ারের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।


আরও পড়ুন: Coochbehar: প্রাথমিক স্কুলের পাশে উদ্ধার বোমার অংশ, চাঞ্চল্য কোচবিহারে