সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: গ্রুপ ডি (Group D) দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে (Calcutta High Court) সিবিআইয়ের (CBI) রিপোর্ট পেশ। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে রিপোর্ট পেশ। রিপোর্ট দেখে বিস্মিত বিচারপতি বসু। এদিন তিনি বলেন, "ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে। নিজের যোগ্যতায় কেউ চাকরি পেলেও ছাত্ররা তাঁর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। অযোগ্য শিক্ষকদের কারণে একটা প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যাবে। এবার বুঝতে পারছি কেন এই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে। মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। এসএসসি গ্রুপ ডি-তে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে দায়ের হয় মামলা।
গ্রুপ ডি দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ: এসএসসি-র গ্রুপ ডি (Group D) দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু গত ২৯ সেপ্টেম্বর মন্তব্য করেন, "এই দুর্নীতি একটি হিমশৈলের চূড়ামাত্র। তিনি বলেছিলেন, আগে এই আবর্জনা পরিস্কার করতে হবে। প্রয়োজনে প্যানেল বাতিল করা হবে। অভিযোগ ছিল কম নম্বর পেয়ে নিয়োগ পত্র পেয়েছেন। বেশি নম্বর পেয়ে চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্র পাননি।'' এর আগে সিবিআইয়ের তরফে ২৯ সেপ্টেম্বর একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি বসু। ফের রিপোর্ট তলব করেন সিবিআইয়ের কাছে। সেই রিপোর্ট আজ মুখবন্ধ খামে পেশ করা হয়।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার নতুন কাণ্ডারি। গ্রুপ C ও গ্রুপ D’র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় CBI’এর স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের প্রধান হচ্ছেন CBI’এর DIG অশ্বিন শেনভি। নাম চূড়ান্ত করে জানাল হাইকোর্ট। ৭ দিনের মধ্যে অশ্বিন শেনভিকে দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। CBI-এর ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে বুধবার CBI’এর স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা SIT’কে ঢেলে সাজান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ভিন রাজ্যে বদলি হওয়া IPS অফিসার অখিলেশ সিংকেও ফেরানোর নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু, সিবিআই জানায়, অখিলেশ সিং, এখন সিবিআই’তে নেই। তখন CBI’কে ৩ জন অফিসারের নাম দিতে বলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মতো শুক্রবার, DIG পদমর্যাদার ৩ জন অফিসারের নাম আদালতে জমা দেয় CBI। তাঁরা হলেন কলকাতায় কর্মরত CBI অফিসার সুধাংশু খারে, রাঁচিতে কর্মরত CBI অফিসার মাইকেল রাজ এবং চণ্ডীগড়ে কর্মরত IPS অফিসার অশ্বিন শেনভি।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ‘কয়লা পাচারের টাকা শাসকদলের প্রভাবশালীদের কাছে গেছে’ বিস্ফোরক শুভেন্দু