সমীরণ পাল, মিনাখাঁ: মিনাখাঁ (Minakha) বিস্ফোরণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ‘তৃণমূল কর্মী আবুল হোসেন গায়েনের তৈরি বোমাতেই তাঁর ভাগ্নির মৃত্যু’। প্রাথমিক জেরার পর এমনই তথ্য সামনে আসছে, খবর সূত্রের। বিস্ফোরণকাণ্ডে (Minakha Blast) আবুল হোসেন গায়েনের ছোট ভাইকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বসিরহাট (Basirhat) থেকে আবুল সত্তার গায়েন গ্রেফতার। ২ ভাই সহ আবুল হোসেন গায়েনের (Abul Hossain Gayen) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়।


বিস্ফোরণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য: মিনাখাঁয় (Minakha) মামা বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিল, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তীর (Basanti) বাসিন্দা ৯ বছরের ওই নাবালিকা। বুধবার সন্ধেয় আরও দু’টি শিশুর সঙ্গে ঘরের মধ্যে খেলছিল সে। হঠাৎই ঘরের মধ্যে রাখা বোমা ফেটে মৃত্যু হয় তার। দু’তলার এই ঘরেই খেলছিল তিনজন। এই জানলার পাশে রাখা ছিল একটি ক্যারম বোর্ড। জানা যাচ্ছে, তার পাশেই ছিল বোমা। সেই বোমার উপর ভুলবসত বসে পড়ে নাবালিকা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। মিনাখাঁ বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিক জেরার পর জানা গিয়েছে, ‘তৃণমূল কর্মী আবুল হোসেন গায়েনের তৈরি বোমাতেই তাঁর ভাগ্নির মৃত্যু।’


নিহতের মামা গ্রেফতার: ঘটনায় নিহতের মামা ও তৃণমূল কর্মী আবুল হোসেন গায়েন এবং তাঁর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে পুলিশ। বুধবার রাতেই মালঞ্চ থেকে নিহতের মামাকে গ্রেফতার করা হয়।  বাড়িতে বোমা মজুতের অভিযোগে শুধু এবারই নয়, আগেও একাধিকবার পুলিশের জালে ধরা পড়েন এই তৃণমূল কর্মী। ২০১৬ সালে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার হন আবুল। একটি সংঘর্ষের ঘটনাতেও আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন।


বাড়িতে মজুত বোমা ফেটে  নাবালিকা মৃত্যু ঘিরে যখন উত্তপ্ত রাজনীতি, তখন ধৃতের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই শুরু হয়ে গেছে দায় ঠেলাঠেলি। নেপথ্যে ভাইরাল হওয়া এক ছবি। যেখানে ধৃত তৃণমূল কর্মী ও দলের অঞ্চল সভাপতিকে একেবারে পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে। আর এই ছবিকে কেন্দ্র করেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে শাসকদলের কোন্দল। ধৃত তৃণমূল নেতা, অঞ্চল সভাপতির ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপ প্রধান। যদিও ধৃতকে তিনি চেনেন না বলে পাল্টা দাবি করেছেন অঞ্চল সভাপতি।


আরও পড়ুন: Purba Medinipore: কাঁথিতে ভরদুপুরে স্কুলের সামনে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন স্বামীর, গ্রেফতার অভিযুক্ত