সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যর জামিনের আবেদন মঞ্জুর। হাইকোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর জামিন মঞ্জুর করলেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ ইডি-র দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে জামিনের আবেদন জানান মানিক। জামিন পেলেও এলাকা ছাড়তে পারবেন না পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় পর্ষদের তৎকালীন সভাপতিকে। ২০২২-এর অক্টোবরে গ্রেফতার করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। 


প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের এই জামিন পাওয়াকে উল্লেখযোগ্য মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যে সকল প্রথম সারির নাম উঠে এসেছিল সেখানে ছিল মানিক ভট্টাচার্যের নামও। ২০২২ এর অক্টোবর মাস থেকে জেলবন্দি ছিলেন তিনি। তবে শর্তসাপেক্ষে তাঁকে জামিন দেওয়ায় হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল জবাবের পর জামিন মঞ্জুরের সময় বেশ কিছু শর্ত দেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। যেমন- পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে, নিম্ন আদালত বা তিনি যে ট্রায়াল কোর্টের আওতায় থাকেন সেই এলাকা তিনি ছাড়তে পারবেন না, তদন্তকারী আধিকারিকদের সাহায্য করতে হবে, আদালতে শুনানির সময় হাজিরা দিতে হবে। এই মামলার সাক্ষীদের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করতে পারবেন না। এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শর্ত লঙ্ঘনে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, হাইকোর্টের তরফে জানান হয় এমনটাও। 


প্রথম যখন এই মামলার তদন্ত শুরু হয়, সেই সময় সুপ্রিম কোর্টে যান মানিক ভট্টাচার্য। সিবিআই তার বিরুদ্ধে কড়া কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবেন না, এই মর্মে শীর্ষ আদালত থেকে রক্ষাকবচ নিয়ে আসেন। 


আরও পড়ুন, 'নিহত চিকিৎসকের শরীরে ছিল একাধিক ক্ষত চিহ্ন', ধৃত সঞ্জয়ের কামড়ের নমুনা সংগ্রহ করে মেলানো হবে প্রমাণ!


উল্লেখ্য, প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় ইডির ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি বলেছিলেন, 'যে গতিতে তদন্ত হচ্ছে, তাতে সবাই ছাড়া পেয়ে যাবে, কিছুই আর পাবে না ইডি। প্রতি পদে মামলা হচ্ছে, বিভিন্নভাবে তদন্ত ব্যাহত করার চেষ্টা চলছে।' প্রাথমিকে নিয়োগে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ কেন্দ্রীয় এজেন্সির 
আপনারা কি ভেবেছিলেন সবকিছু খুব মসৃণ হবে? ইডিকে প্রশ্নও করেছিলেন বিচারপতি সিনহা।  


প্রসঙ্গত এর আগে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এবার জামিন পেয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য। সৌভিক ভট্টাচার্যের জামিন মঞ্জুর করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ইডির হাতে গ্রেফতারির পর, প্রায় ১ বছর জেলবন্দি ছিলেন মানিক পুত্র সৌভিক। পদ্ধতিগত ত্রুটি দেখিয়ে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছিল সর্বোচ্চ আদালত। তলবের নির্দেশনামা ছাড়াই কীভাবে তাঁকে তলব করল ইডি, এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এর পরই তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়। 


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে