কলকাতা: বৃহস্পতিবারই ইডিকে (Enforcement Directorate) নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেইমতো নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর (Sujay Krishna Bhadra) চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করল ইডি। আজ এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট সংগ্রহ করে ইডি। হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে কথা বলেন ইডির প্রধান তদন্তকারী অফিসার মিথিলেশ কুমার মিশ্র। কালীঘাটের কাকুর ধমনীতে ব্লকেজ রয়েছে, বাইপাস সার্জারির যুক্তি দেখিয়ে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। মামলার প্রেক্ষিতে, বোর্ড গঠন করে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য EDকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।


প্রশ্নের মুখে অসুস্থতার যুক্তি: হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল কালীঘাটের কাকুর অসুস্থতার যুক্তি। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানান সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর আইনজীবী। আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি মন্তব্য করেন, 'দুটি কারণে বাইরে চিকিৎসার প্রয়োজন থাকতে পারে। হয় SSKM-এর নির্দিষ্ট পরিকাঠামো নেই আর না হলে যে চিকিৎসককে দেখান তিনি শুধু কিছু নির্দিষ্ট হাসপাতালেই বসেন'। এর মধ্যে কোনটা সুজয়কৃষ্ণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তা সুজয়কৃষ্ণর আইনজীবীর কাছে জানতে চান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সুজয়কৃষ্ণর আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেল নির্দিষ্ট একজন চিকিৎসককে দেখাতে চান। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এই চিকিৎসককে আগে দেখিয়েছেন বা এই চিকিৎসকের অধীনেই কি তিনি চিকিৎসাধীন?


মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ: একইসঙ্গে বিচারপতি মন্তব্য করেন, 'হয় SSKM-কে বলতে হবে যে, তাদের পরিকাঠামো নেই বা, তারা চিকিৎসা করতে পারবে না বা, তাদেরকেই বলতে হবে যে নির্দিষ্ট কোনও একজন চিকিৎসকের কাছেই চিকিৎসা করাতে হবে। সুজয়কৃষ্ণর আইনজীবী বলেন, পছন্দের হাসপাতালে চিকিৎসা করানো মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। বিচারপতির মন্তব্য, এখন জামিন দিকে অন্য অভিযুক্তদের কাছে ভুল বার্তা যাবে। জামিন না দিয়েও বাইরে চিকিৎসা করানোর অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। আদালতে ইডি-র সওয়াল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বাইপাস সার্জারির প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হোক। SSKM হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও, যখনই রাজনৈতিক বিষয় আসে তখনই মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। সওয়াল করে ইডি। এরপরেই বিচারপতি বলেন তাহলে ইডি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করুক। তাদের রিপোর্ট দেখে আদালত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে।


আরও পড়ুন: Humayun Kabir : হুমায়ুনের ইউ-টার্ন, নতুন দলের হুঁশিয়ারি সরিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বে আস্থা, শো-কজে ক্ষমাপ্রার্থনা