কলকাতা: সল্টলেকের করুণাময়ীতে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের চার দিনে পা। অনশনের ৫৪ ঘণ্টা, ধর্নার ৭৫ ঘণ্টা পার। এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। গত দু’ দিনে অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কয়েকজন আন্দোলনকারী। করুণাময়ীতে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের ধর্না চলাকালীনই ২০১৭-র প্রাথমিক টেট চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ। এদিন এই বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন তিনি কা্রোর চাকরি যাওয়ার পক্ষপাতী তিনি নন।
কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "যা বলার ব্রাত্য বলবে, আমি বিস্তারিত জানি না। আমি আন্দোলনকারীদের ভালবাসি। যাঁরা ন্যায্য আন্দোলন করেন। আদালতে কেস চলছে। আদালতের নির্দেশকেও আমরা মান্যতা দিচ্ছি। আমি চাই কারোর চাকরি যেন না যায়। আমি তো খুশি যে সুপ্রিম কোর্ট রায়টা দিয়েছে।''
সল্টলেকের করুণাময়ীতে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের আজ চতুর্থ দিন। এদিন ধর্নামঞ্চে হাজির হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।যদিও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, পদ্ধতি মেনে আবেদন ও ইন্টারভিউয়ে বসতেই হবে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের। দু’-দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন, ফের ইন্টারভিউ দিতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। এদিন সল্টলেকের করুণাময়ীতে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের ধর্না চলাকালীনই ২০১৭-র প্রাথমিক টেট চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ। এদিন করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে যাচ্ছিলেন ২০১৭-র টেট চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশ তাঁদের আটকায়। আন্দোলনকারীরা ছুটতে শুরু করেন। পরে করুণাময়ী যাওয়ার রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা। অন্যদিকে, করুণাময়ীতে ২০১৪-র টেট চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না-অনশন এখনও চলছে।
বুধবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) দলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন মমতা। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই ফের চাকরি নিয়ে মন্তব্য শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)বলেন, "বাংলায় কোচ ফ্যাক্টরি হচ্ছে, দেউচা পাঁচামি হচ্ছে, তাজপুর বন্দর হচ্ছে। শুধু বাগডোগরা নয়, আরও বিমানবন্দর তৈরি হবে। সারা বাংলায় ঢেলে কাজ হচ্ছে। আমি চাই ঢেলে কর্মসংস্থান হবে। কেউ কেউ চায় না আমাদের ভাইবোনেদের ঢেলে কর্মসংস্থান হোক। শুধু বাধা দিয়ে কুৎসা রটনা করছে। চাইছে যাতে চাকরি দেওয়া বন্ধ হয়ে যাক। আমি কারোর চাকরি খাব না। আমরা চাকরি বন্ধ করব না। আমরা চাকরি রেগুলার দেব। কালও আমি এখানে অনেক চাকরি দিয়ে গিয়েছি। যখন যেটা প্রয়োজন হাজার বার করব।''