কলকাতা: এবার আদালতের নজরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা। রাজ্যের স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্য আপলোডের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট। কারা স্কুলে চাকরি করছেন, তা সকলের জানা উচিত বলে মন্তব্য করেছে আদালত। এর প্রেক্ষিতে রাজ্য জানিয়েছে, সব তথ্য হাতে আনতে আরও দু'মাস সময় লাগবে।  দ্রুত সেই কাজ সম্পূর্ণ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। (Calcutta High Court)


বৃহস্পতিবার আদালত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যোগ্যতার সংক্রান্ত তথ্য পোর্টালে আপলোড করতে নির্দেশ দিয়েছে। এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে শুনানি চলছিল। বিচারবতি বসু বলেন, "শিক্ষকদের কী যোগ্যতা, তা অভিভাবকদের জানা উচিত। নিয়োগপত্র ছাড়াই অনেকে চার-পাঁচ বছর চাকরি করছেন। আর দেরি করা উচিত নয়। কারা স্কুলে চাকরি করছেন, তা সকলের জানা উচিত।" (Kolkata News)


আদালতের নির্দেশ নিয়ে এদিন রাজ্য জানায়, সব তথ্য জড়ো করতে সময় লাগবে। তাই আরও দু'মাস সময় দেওয়া হোক তাদের। এতে আদালত জানায়, এত আস্ত কাজ করলে চলবে না। কাজে গতি আনতে হবে। আরও দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যকে। রাজ্য সরকারের যে শিক্ষা সংক্রান্ত পোর্টাল রয়েছে, সেখানে সব তথ্য আপলোড করতে হবে। 


আরও পড়ুন: Exam Paper Leaks: NEET-NET-SSC, শুরু এখানেই নয়, একাধিক বড় শিক্ষা-দুর্নীতির সাক্ষী থেকেছে দেশ


এদিন বিচারপতি বসু জানান, রাজ্যের শিক্ষা দফতরের অধীনস্থ কর্মরত সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য আপলোড করার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। এর আগেও কলকাতা হাইকোর্টের তরফে শিক্ষা দফতরের ডিজিটাইজেশনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের তরফে সেই মর্মে কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু সেই কাজে গতি আনতে হবে বলে এদিন জানায় আদালত।


আদালত জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই বহু অভিযোগ এসেছে। অযোগ্য অনেকেই শিক্ষক-শিক্ষিকা হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, নিয়োগপত্র না পেয়েও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। ফলে অভিভাবকদের মধ্যে চিন্তা দেখা দিয়েছে। স্কুলে আদৌ যোগ্যরা কাজ করছেন কি না, তা জানার অধিকার রয়েছে অভিভাবকের। তাই রাজ্যকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যোগ্যতা সংক্রান্ত সব তথ্য তুলে ধরতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


লোকসভা নির্বাচনের জন্য স্কুলগুলির পঠনপাঠন ব্যাহত হওয়া নিয়েও এদিন মুখ খোলে আদালত। আদালত জানায়, দেশে প্রতি বছরই দু'টি, তিনটি করে নির্বাচন হচ্ছে। দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের এর জন্য ভোগান্তি হচ্ছে। কেন নির্বাচনের জন্য আলাদা ভবন তৈরি করা হচ্ছে না, প্রশ্ন তোলে আদালত। কেন্দ্রীয় বাহিবীর থাকার জন্য সরকারের আলাদা ভবন তৈরি করা উচিত বলে জানানো হয়। নির্বাচনের জেরে গত তিন-চার মাস ধরে স্কুলের পঠনপাঠনই শুধু ব্যাহত হচ্ছে না, ছাত্রছাত্রীরা মিড ডে মিলও পাচ্ছেন না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে আদালত।