কলকাতা: আজ বহু প্রতীক্ষিত SSC মামলার রায় দান। রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চ। SSC-তে, গ্রুপ C, গ্রুপ D-র কর্মী নিয়োগের পাশাপাশি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগেও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ ওঠে। যে মামলায় গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে।


দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ: SSC-তে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার আজ রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্ট। SSC-র মাধ্যমে, গ্রুপ C, গ্রুপ D-র কর্মী নিয়োগের পাশাপাশি,নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগেও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের কী পরিণতি হবে? গত ১৩ই মার্চ, শুনানি চলাকালীন পর্যবেক্ষণে দু’টি বিকল্পের কথা উল্লেখ করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। প্রথমত, দুর্নীতি প্রমাণিত হলে বাতিল করা হতে পারে সম্পূর্ণ নিয়োগ। অথবা বাতিল করা হতে পারে গোটা নিয়োগের অংশবিশেষ।


SSC-র গ্ৰুপ-সি, গ্ৰুপ-ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ২৪ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অনেকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়ে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে মামলাটি ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। বিশেষ বেঞ্চকে ছ’মাসের মধ্যে শুনানি শেষ করতে বলেছিল শীর্ষ আদালত। সেই মতো গত ডিসেম্বর মাস থেকে ওই মামলাগুলির শুনানি শুরু হয় বিশেষ বেঞ্চে।প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে টানা এই মামলার শুনানি হয়েছে।          

মামলার শুনানিতে, গত ১৩ মার্চ বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, একটা পচা আপেল গোটা ঝুড়ির আপেলকে নষ্ট করে দেয়। পিছনের দরজা দিয়ে চাকরি পেলে কী করা উচিত? পদ ভরাতে হবে বলে অযোগ্যদের কেন নিয়োগ করা হবে? অযোগ্য ব্যক্তিরা কী শেখাবেন? যদি সবটা অবৈধ হয়, তাহলে যা পরিণতি, তাই হবে। পাশাপাশি, বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়,কমিশনকে বিশ্বাস করতে না পারলে তো গোটা নিয়োগই বাতিল করা উচিত।     


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Weather Update: ৫০ বছরে রেকর্ড গরম, কী পরামর্শ চিকিৎসকদের?


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI