কলকাতা : বেসরকারি স্কুলে অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধি নিয়ে কড়া কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 'ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষা বিক্রয়যোগ্য পণ্য হতে পারে না, ইচ্ছেমতো টাকায় শিক্ষা বিক্রি হতে পারে না, বেসরকারি স্কুল যেমন খুশি টাকায় শিক্ষা বিক্রি করতে পারে না', কড়া পর্যবেক্ষণ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।


মহামান্য আদালতের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Biswajit Basu) মন্তব্য 'বেসরকারি স্কুলগুলোর উপর রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি। এটা ঠিক যে বেসরকারি স্কুলের বেতন কাঠামো রাজ্য ঠিক করতে পারে না। কিন্তু কোথাও বলা নেই যে বেসরকারি স্কুলের উপর রাজ্যের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। ২০১২ সালের আইন বলছে রাজ্যের সায় থাকতে হবে'।


স্কুলের বেতন বৃদ্ধিতে তাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য, জানিয়েছে সিবিএসই। বেসরকারি স্কুলের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যের কোনও বক্তব্য থাকবে কিনা জানতে চাইলেন বিচারপতি। এই প্রশ্ন বিবেচনায় এনে সুষ্ঠু সমাধান চায় আদালত, মন্তব্য বিচারপতির। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে মামলায় সওয়ালের জন্য অনুরোধ । ২১ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি।                                       


আরও পড়ুন- মর্গে শবের স্তূপে জীবন্ত ছেলে, হাওড়া থেকে গিয়ে ফিরিয়ে আনলেন বাবা


গত বছরেও স্কুলের ফি বৃদ্ধি ঘিরে মামলা গড়িয়েছিল আদালতে। যেখানে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল, মার্চ থেকে আগের মতোই স্কুলে (Private School)  দিতে হবে পুরো বেতন (School Fees) । ৮০ শতাংশ নয়, বেসরকারি স্কুলে দিতে হবে পুরো ফি। নির্দেশে জানানো হয়েছিল, ‘করোনা কালে বকেয়া স্কুল ফি-র ৫০ শতাংশ দিতে হবে। তবে বকেয়া না দিলে  ২৫ মার্চ পর্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। '
উল্লেখ্য, করোনা অতিমারী পর্বে স্কুল বন্ধ ছিল। অভিভাবকদের অভিযোগ ছিল, স্কুল বন্ধ থাকলেও অন্যান্য ফি নিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। আদালত জানিয়েছিল, ৮০ শতাংশ টিউশন ফি দিতে হবে।                                    


আরও পড়ুন: গরম পড়লেই ভরসা আখের রসে? কতটা কাজে লাগে? আদৌও উপকার রয়েছে?


এবিপি লাইভ এখন টেলিগ্রামেও। ক্লিক করুন- https://t.me/abpanandaofficial