কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll 2023) জন্য পরীক্ষা এবার পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে অনার্স ও জেনারেলের পরীক্ষা। জুনের পরিবর্তে পরীক্ষা হবে জুলাই মাসে। 

রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন: ৮ জুলাই অর্থাৎ শনিবার হবে পঞ্চায়েত ভোট। গোটা রাজ্যে এক দফাতেই হবে ভোটগ্রহণ। নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে জানান রাজীব সিন্হা। ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল ৫ দফায়। কিন্তু, ২০১৮ সালে ভোট হয় এক দফায়। এবারও, পঞ্চায়েত ভোট এক দিনেই ঘোষণা করল রাজ্য় নির্বাচন কমিশন।সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকে, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করায়, তীব্র বিরোধিতা করেছে বিরোধীরা। ৮ জুলাই, ২০টি জেলা পরিষদ, ৩৪১টি পঞ্চায়েত সমিতিএবং ৩ হাজার ৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোট হবে। ভোট গণনা হবে ১১ জুলাই।

কী জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ? 

বিএ, বিএসসি অনার্স ও জেনারেল কোর্স মিলিয়ে এবছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭২ হাজার। ভোটের কাজের জন্য ব্যবহার করা হবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন একাধিক কলেজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বিএ, বিএসসি অনার্স ও জেনারেলের পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে । ২৭ জুনের পরিবর্তে পরীক্ষা শুরু হবে ১৫ জুলাই। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, 'ভোটের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে কলেজ, তাই পিছোচ্ছে প্রায় ৭২ হাজার পড়ুয়ার পরীক্ষা।'

এদিকে ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত, রাজ্যপালকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর। 'কাল রাজভবনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন, নাম দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রতিষ্ঠা দিবস। আপনার এই সিদ্ধান্তে আমি স্তম্ভিত, বিস্মিত এবং ভীষণভাবে আঘাত পেয়েছি', রাজ্যপালকে চিঠিতে লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও লিখেছেন, '১৯৪৭ সালে বঙ্গভঙ্গের পর প্রতিষ্ঠা নিয়ে আমরা কখনও কোনও উদযাপন অনুষ্ঠান করিনি। শুধুই জড়িয়ে রয়েছে দুঃখজনক স্মৃতির অধ্যায়। লক্ষ লক্ষ গৃহহীন মানুষ এপার থেকে ওপারে গেছে, ওপার থেকে এপারে এসেছে, বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এই দিনটাকে আলাদাভাবে উদ্ যাপন করার অর্থ দেশভাগের স্মৃতিকে আবার ফিরিয়ে আনা। এই ধরণের অনুষ্ঠানের আগে রাজ্য মন্ত্রিসভায় আলোচনা প্রয়োজন, সরকারকে জানানো দরকার, কিন্তু একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।' যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, 'এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। এই ধরণের অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকুন', রাজ্যপালকে অনুরোধ মুখমন্ত্রীর। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'এটা উদ্ যাপন দিন নয়, দুঃখের দিন, যা অতীত স্মৃতিতে ফিরিয়ে আনবে, আমরা তা কখনই চাই না।'

আরও পড়ুন: Clove Farming: লক্ষ্মীলাভ করতেও ভরসা উপকারী লবঙ্গ! লাভ পাবেন চাষিরা