অনির্বাণ বিশ্বাস, আশাবুল হোসেন, ঊজ্জ্বল মুখোপাধ্য়ায়, কলকাতা: এবার চাকরির (Job Seeker) দাবিতে পথে নামলেন পুলিশ কনস্টেবল (Police Constable) পদের পরীক্ষার্থীরা। আজ শিয়ালদা স্টেশন (Sealdah Station) থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মহা মিছিলের ডাক দেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পরীক্ষার পর, ৭ মাস কেটে গেলেও সাড়ে ১৭ হাজার পরীক্ষার্থীর চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি। অভিযোগ, টালবাহানা করা চলেছে প্রশাসন। অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে তাই মহামিছিলের ডাক। 


নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় শিক্ষকতার চাকরিপ্রার্থীরা DA-র দাবিতে অবস্থানে সরকারি কর্মীরা। এবার, চাকরির দাবিতে পথে নামলেন পুলিশের কনস্টেবল পদের চাকরিপ্রার্থীরা। অবিলম্বে মেধা তালিকা প্রকাশও নিয়োগের দাবিতে, সোমবার, শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। আন্দোলকারীদের দাবি, ২০২০ সালে কনস্টেবল পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। ২০২২-এ পরীক্ষা হয়। তাতে অংশ নেয় প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার পরীক্ষার্থী। 


অভিযোগ, পরীক্ষার পর ৭ মাস কেটে গেলেও, প্রকাশ হয়নি মেধাতালিকা। হয়নি নিয়োগ। অবিলম্বে প্য়ানেল প্রকাশ করে নিয়োগের দাবিতে, এবার পথে নামলেন আন্দোলনকারীরা। 
মূল দাবি। নিয়োগ চাই। শিক্ষক নিয়োগ থেকে পুরসভা, রাজ্য়জুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উঠেছে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ। 


এই প্রেক্ষাপটে কনস্টেবল পদে নিয়োগ-বিলম্বে দুর্নীতির সিঁদূরে মেঘ দেখছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন, আমাদের চাকরির পরীক্ষাতেও কী নিয়োগ দুর্নীতি? কনস্টেবল পদে নিয়োগেও 'দুর্নীতি'? জবাব তৃণমূলের চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, বারবার ডেপুটেশন দেওয়া সত্ত্বেও কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের। তাই বাধ্য় হয়েই পথে নামার সিদ্ধান্ত। 


গ্রুপ D চাকরিপ্রার্থীদের ২ দিন ব্য়াপী লং মার্চ : একটাই দাবি, অবিলম্বে নিয়োগ। কিছুদিন আগে চাকরির দাবিতে রাজ্য় সরকারি গ্রুপ D চাকরিপ্রার্থীদের ২ দিন ব্য়াপী লং মার্চ শেষ অবধি পৌঁছয় কলকাতায়। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে শুরু হয় মিছিল। বুধবার, শহিদ মিনারে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির নীচে, চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চে শেষ হয় মিছিল। 


তবে এরই মাঝে, চাকরিপ্রার্থীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, আদালতের অনুমতি নিয়ে মিছিলের ডাক দিলেও, বারবার পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের। অভিযোগ, সোমবার, তমলুক ও সাঁকরাইলে ধরপাকড় করা হয় চাকরিপ্রার্থীদের। ধুলাগড়ে নৈশমঞ্চ খুলে দেয় পুলিশ। বাগনানে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠি চালানো হয়। 


এছাড়া, বুধবার, সাঁকরাইল থেকে তাঁদের মিছিল করার কথা ছিল। কিন্তু হাওড়ায় অশান্তির কারণ দেখিয়ে, মিছিল করতে দেয়নি পুলিশ। শেষমেশ বড়বাজার থেকে মিছিল করেন চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগে আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন আন্দোলনকারীরা।