দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ ক্যানিং হত্যাকাণ্ডে (Canning Murder Case) ফের গ্রেফতার। ক্যানিংয়ে প্রকাশ্যে ৩ তৃণমূল নেতা খুনে ফের গ্রেফতার আজ। এফআইআর নামে থাকা অভিযুক্ত এবাইদুল্লা মণ্ডল গ্রেফতার করে পুলিশ। এফআইআরে নাম থাকা ৬ জনের মধ্যে প্রথম অভিযুক্ত গ্রেফতার। এখনও অধরা এফআইআরে নাম থাকা রফিকুল-সহ ৫।
আরও পড়ুন, মদে বিষ ছিল ? নাকি মেশানো হল পরে ? বর্ধমান মদকাণ্ডে কী নির্দেশ আদালতের
জানা গিয়েছে, রফিকুলের সন্ধানে ইতিমধ্যেই অভিযান চালায় ক্যানিং পুলিশ। একটি টোটোকে ধাওয়া করে। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় রফিকুলের ভাগ্নে মুরেশলিন-সহ ২ এবং উদ্ধার করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। ফেরার রফিকুলের ভাগ্নে মুরশেলিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, শনিবার ক্যানিংয়ে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। মূলত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাজি সহ দুই তৃণমূল কর্মীকে খুনের পরেই উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। এরপরেই এদিন ক্যানিংয়ে যায় তৃণমূলের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এবং নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন কাকলি-মালা-সওকতরা।
ক্যানিং হত্যাকাণ্ডের পর শনিবার নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যান কাকলি ঘোষ দস্তিদার। নিহতদের পরিবারকে সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।উপস্থিত ছিলেন মালা রায়, সওকত মোল্লা, শুভাশিস চক্রবর্তী সহ আরও অনেকে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাজি সহ দুই তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় একজন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম আফতাব উদ্দীন শেখ। শুক্রবার গভীর রাতে কুলতলি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রফিকূলকে এখনও ধরা যায়নি।
দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি জানান কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁর কথায়, 'দোষীরা শাস্তি পাবে। আমি চাই দোষীদের ফাঁসী দেওয়া হোক।' এদিকে এই ঘটনায় পাল্টা তৃণমূলের দিকেই আঙুল উঠেছে। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রফিকূলের মা, ছেলে তৃণমূল করে বলে জানাতেই মূলত উত্তাল হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। তবে এদিন এই প্রসঙ্গ নস্যাত করেছেন তৃণমূল নেতা সওকত মোল্লা। সওকত বলেন, 'তৃণমূল কখনই তৃণমূলকে খুন করতে পারে না।' তিনি এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিদেরকেই দায়ী করেছেন। এদিন কথা প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ হতে দেবেন না বলেও সরব হন তিনি।