কমল কৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমানঃ বর্ধমান মদকাণ্ডে (Burdwan Alcohol Incident) অভিযুক্ত গনেশ পাসোয়ানের চারদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ বর্ধমান আদালতের (Burdwan Court)। গনেশের আইনজীবী কমল দত্তের দাবি (Lawyer Kamal Dutta), যে মদ খেয়ে মারা গেছে সেটা ক্যাপ্টেন মদ, যেটা সাপ্লাই করে এক্সাইজ ডিপার্টমেন্ট (Excise Department)। ক্যাপ্টেন মদে যদি বিষ মিশে থাকে তাহলে তার দায়ভার এক্সাইজ ডিপার্টমেন্টের। 


আরও পড়ুন, দুর্গাপুজো আসছে, একটু বোমা-গুলি না থাকলে তো: মদন মিত্র


মদে বিষ ছিল ? নাকি মেশানো হল পরে ?


এফআইআর-এ বলা হয়েছে, যারা মদ খেয়ে মারা গেল, সেটা ক্যাপ্টেন মদ ছিল। পুলিশের বক্তব্য মদ খুলে বিক্রি করার সময় মদের সাথে কিছু মেশানো হয়েছে। হোটেল মালিক নিজেই মদ খেয়েছিল তার পর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। যে মদের মধ্যে অন্য কিছু মেশাবে সে নিজে এই মদ খাবে না । প্রসঙ্গত, রাজ্যে মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। আগেও ঘটে একাধিকবার। তারপরে বেআইনি মদের ঠেক প্রশাসনের তরফে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এবার আর সেখানেই থেমে নেই এই ঘটনা। কারণ এবার এই মদে নাম জড়িয়েছে এক্সাইজ ডিপার্টমেন্টের। এদিন বর্ধমান আদালতে, আইনজীবী কমল দত্তের দাবি , যে মদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে, সেটা ক্যাপ্টেন মদ। আর এই ক্যাপ্টেন মদ সাপ্লাই করে এক্সাইজ ডিপার্টমেন্ট। এদিকে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ প্রশাসন। লালা রস সংগ্রহ করেও পরীক্ষা করা হবে। হোটেলের মদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাহলে উঠে আসতে পারে, আসলে ঠিক কী হয়েছিল।  মদে বিষ ছিল ? নাকি মেশানো হয়েছে পরে ? সব প্রশ্নেরই উত্তর উঠে আসবে। 


হোটেলটিকে সিল করে দিয়েছে পুলিশ


উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার রাতে, অসুস্থ অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সর্বমঙ্গলার বাসিন্দা শেখ সুব্রাতি  ও শেখ হালিমকে । যাদের বয়েস যথাক্রমে ২৫ এবং ৪০ বছর। এদিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই দুই জনের মৃত্যু হয়। তারপরই অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। অভিযোগ, বর্ধমানের লক্ষ্মীপুর এলাকায় জিটি রোডের ধারে একটি খাবারের হোটেল থেকে মদ কিনে খেয়েছিলেন ওই দুই জন। তারপরই অসুস্থ হয়ে যান। ইতিমধ্যেই হোটেলটিকে সিল করে দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বর্ধমান থানা। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন,  টক্সাইড অবস্থায় ২ জন ভর্তি হয়। তারপর তাঁদের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরদিন সকালেও একজন বর্ধমান মেডিক্যালে ও একজন নার্সিংহোমে আরও ২ জন ভর্তি হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে মদ খওয়ার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। কী কারণে মৃত্যু রিপোর্ট আসলেই তা বোঝা যাবে বলে জানান তিনি।