জয়ন্ত পাল, কলকাতা: কলকাতা বিমানবন্দরে জেড্ডা থেকে হংকংগামী কার্গো বিমানের জরুরি অবতরণ। সকাল ১১.৩৭ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমানটি। বিমানটিতে চারজন ছিল বলে জানা গিয়েছে। যখন কলকাতার আকাশে বিমানটি ছিল, ঠিক সেই সময় পাইলট লক্ষ্য করে বিমানটির উইন্ডশিল্ড ফেটে গিয়েছে। তখনই বিমানের পাইলট কলকাতা এটিসির (ATC) সঙ্গে যোগাযোগ করে। কলকাতা এটিসি তাকে জরুরি অবতরণের অনুমতি দেয়। শেষ অবধি পাওয়া খবরে জানা যায়, ওই ঘটনার পর মেরামতি কাজ শুরু হয় বিমানটির।


২০২৩ সালের ফেব্রয়ারিতেও এমনই এক বিপত্তির মুখোমুখী হয়েছিল কলকাতা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছিল বিমান। ইঞ্জিনে ত্রুটির (Engine Problem) কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছিল। মধ্যরাতে কলকাতায় জরুরি অবতরণ করা হয়েছিল স্পাইস জেটের (Spice Jet) বিমানের। কলকাতা থেকে উড়ানের ২৮ মিনিটের মধ্যেই ফেরানো হয়েছিল বিমানটিকে।


১৭৮ জন যাত্রী নিয়ে ব্যাঙ্ককের (Bangkok) উদ্দেশে উড়েছিল বিমানটি। বাঁ দিকের ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনি শুরু হয়। টেক অফের সময়ই ইঞ্জিনে গন্ডগোলের সূত্রপাত, বলে খবর এসেছিল সূত্র মারফৎ। কলকাতা এটিসি (ATC)-র কাছে জরুরি অবতরণের (Emergency Landing) বার্তা পাঠিয়েছিল পাইলট। ব্যাঙ্ককগামী বিমানটিতে ১৭৮ জন যাত্রী ছাড়াও, ৬ জন বিমানকর্মী ছিলেন।


কলকাতা থেকে রাত ১টা নাগাদ উড়েছিল স্পাইস জেটের Boeing 737 flight SG 83. ওড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইঞ্জিনে সমস্যা বুঝতে পারায় জরুরি অবতরণের জন্য ATC-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন পাইলট।  প্রায় দেড়টা নাগাদ সফল জরুরি অবতরণ করেছিল বিমানটি। ততক্ষণে, দমকল, অ্যাম্বুল্যান্স, স্বাস্থ্যকর্মী, CISF -এর সদস্য উপস্থিত হয়েছিলেন। জরুরি অবতরণের পর যাত্রীদের নীচে নামিয়ে আনা হয়েছিল। তারপরে ওই বিমানটিকে বে থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক পরীক্ষার পরে জানা যায়, বিমানের বাঁদিকের ইঞ্জিনের ব্লেড ভেঙে গিয়েছিল। 


আরও পড়ুন, বঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিন, বঙ্গ ব্রিগেডকে ৩৫ আসনের লক্ষ্য বেঁধে দিলেন অমিত শাহ 


সম্প্রতি নেওয়ার্ক থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান জরুরি অবতরণ করেছিল সুইডেনের স্টকহোম বিমানবন্দরে। মাঝ আকাশে পাইলট দেখেছিলেন বিমানের ইঞ্জিন ফুটো হয়ে চুঁইয়ে পড়ছিল তেল। তা দেখেই বিমানের মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্টকহোম বিমানবন্দরে। সেইসময় বিমানে ৩০০ জন যাত্রী ছিলেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছিল,স্টকহোম বিমানবন্দরে পরীক্ষা করে দেখা যায়, দু'নম্বর ইঞ্জিন থেকে তেল চুঁইয়ে পড়ছিল। পাইলটের তৎপরতায় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা থেকে এড়ানো গিয়েছিল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।