কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2923) কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) নিয়ে হাইকোর্টে মামলা, আজই রায় দেবে হাইকোর্ট (CalcuttA High Court)। বিকেল ৪.৩০: শুভেন্দু-অধীরের করা জোড়া মামলায় রায়দান। 'মনোনয়নে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টের পর্যন্ত সময় পর্যাপ্ত নয়'। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মামলায় প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ ছিল হাইকোর্টের। পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে বিরোধীরা। গতকাল একদফায় সেই মামলার শুনানি হয়েছে। শুনানিতে জানানো হয়,  কমিশনের নির্দেশ মতো সবরকম পরিকাঠামোগত সাহায্য দিতে রাজ্য সরকার বাধ্য, মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। কলকাতার ৮০ শতাংশ পুলিশ হুগলি, বীরভূমে চলে গেলে কলকাতার আইন- শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কী হবে? কেন্দ্রীয় বাহিনী মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। 


মনোনয়ন পর্বজুড়েই রাজ্যে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি: মারধর, বোমাবাজি, রক্তপাত, কার্যত কিছুই বাকি রইল না। অনেকেই বলছেন, বিডিও অফিসের সামনে রাজ্য পুলিশের উপস্থিতি, ১৪৪ ধারা জারির পরও মনোনয়ন ঘিরে এই ভয়ঙ্কর ছবিই বলে দিচ্ছে, গ্রাম বাংলায় কী চলছে! 


বিরোধীরা অভিযোগ করছে, রাজ্যে কার্যত প্রি-পোল ভায়োলেন্স চলছে! আর, এই পরিস্থিতিতে আরও জোরাল হচ্ছে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর দাবি। ইতিমধ্য়েই রাজীব সিনহাকে রাজ্য় নির্বাচন কমিশনার পদে বেছে নেওয়ার ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছন শুভেন্দু অধিকারী। ঘুরিয়ে সমালোচনা করেন রাজ্য়পালেরও।


জল গড়িয়েছে হাইকোর্ট পর্যন্ত: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে জল গড়িয়েছে হাইকোর্ট পর্যন্ত। যদিও, শুরু থেকেই নতুন রাজ্য় নির্বাচন কমিশনার কার্যত রাজ্য় পুলিশেই আস্থা রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন!এই প্রেক্ষাপটে সোমবার হাইকোর্টে শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি বলেন, রাজ্য় নির্বাচন কমিশন নিজেই বলেছে ৬ টি জেলা স্পর্শকাতর। সেগুলোর ক্ষেত্রে কি হবে? কলকাতার ৮০ শতাংশ পুলিশ যদি হুগলি বা বীরভূমে চলে যায় তাহলে কলকাতার আইন- শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কী হবে? সাড়ে তিন মাসের মধ্যে অন্তত ১২ বার হাইকোর্টকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। সিভিক ভলান্টিয়ার তো মামলা রুজু করতে পারবে না। কমিশন পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।


এ দিন, হনুমান জয়ন্তীতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর প্রসঙ্গ টেনে প্রধান বিচারপতি বলেন, হনুমান জয়ন্তীর সময়ও আমরা বলেছিলাম যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে একত্রে রাজ্য পুলিশ কাজ করলে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সুবিধা হবে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এও বলে আইন অনুযায়ী কমিশনের মতামতকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক সবরকম পরিকাঠামোগত সাহায্য দিতে রাজ্য সরকার বাধ্য। সেই সঙ্গে হাইকোর্ট এও মনে করিয়ে দেয়, স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপের ক্ষমতা আদালতের আছে। তবে আডজ আদালত কী রায় দেয় সেদিকেই নজর সকলের।কারও হাতে লাঠি, কারও মুখে কাপড় বাধা, হাতে ইট। তো কারও থেকে উদ্ধার হচ্ছে পিস্তল। এই পরিস্থিতিতে কি আদৌ কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট সম্ভব? বিরোধীদের প্রশ্ন আরও জোরাল হচ্ছে।