কলকাতা: গরুপাচার মামলায় (Cattle Scam) অনুব্রত, সুকন্যা, সায়গলের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ল হেফাজতে থাকার মেয়াদ। এদিকে, হেফাজতের মেয়াদ বাড়ার নির্দেশ শুনেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন সুকন্যা মন্ডল। জানা গিয়েছে, শরীর খারাপ থাকায় আজ সশরীরে হাজির করা হয়নি অনুব্রত মন্ডলকে। এরপর সুকন্যা এবং সায়গলকে তোলা হয় রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে (Court)।


প্রসঙ্গত, একদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গতবছর গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত মন্ডল। সেসময় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে পেয়েছিলেন অনুব্রত মন্ডল। এদিকে একই দলে থেকেও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেসময় পাশে পাননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিকে এতদিনে গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে বহু জল। আর পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগেই ভিন্ন চিত্র ধরা পড়েছিল অনুব্রত গড়ে।


পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে গরুপাচার মামলায় একটি পৃথক চিত্র সামনে এসেছিল। সেসময় একদিকে তখন দোড়গড়ায় ছিল পঞ্চায়েত ভোট। যখন অনুব্রতহীন বীরভূমে জনসংযোগ যাত্রায় ঝড় তুলছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে ঠিক তখনই অন্যভাবে দেখা গিয়েছিল অনুব্রত মন্ডলকে। বেতন (Salary) পাচ্ছেন না কর্মীরা, চাল কলের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য তিহাড় থেকে আসানসোল আদালতে আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।


অপরদিকে, দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপড়েনের পর দোলপূর্ণিমার দিন দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গরুপাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে। ইডি হেফাজত শেষে তিহাড় জেলে যান বীরভূমের দাপুটে জেলা তৃণমূল সভাপতি। এদিকে গ্রেফতার হন অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। তাঁকেও তিহাড় জেলে পাঠানো হয়। তবে আসানসোল থেকে তিহাড় জেলে যাওয়ার পর, ফের আসানসোলে ফেরার জন্য় দিল্লির আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।


আরও পড়ুন, বাঙালিকে ভালবেসে অনুবাদ, গুলজারের জীবন বদলে দেওয়া বই হয়ে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ


ওই মামলার শুনানিতেই অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সওয়াল করেছিলেন, অনুব্রতর দিল্লিতে থাকার আর কোনও প্রয়োজন নেই। এখানে শুধু একদিন একদিন করে, অনুব্রতর জেল হেফাজত বাড়ানো হচ্ছে। তাঁকে আসানসোল জেলে ফেরানো হোক। পাল্টা সওয়ালে ইডি বলেছিলেন, অভিযুক্ত ঠিক করতে পারেন না, তিনি কোন জেলে থাকবেন। তিহাড়কেই ঘরবাড়ি ভাবতে শুরু করুন। আরও ৩-৪ বছর থাকতে হতে পারে জেলে।  দিল্লির রাউস অ্য়াভিনিউ কোর্ট অনুব্রত মণ্ডলের আবেদন খারিজ করে মে মাসে জানানো হয়েছিল, এই আবেদনে কোনও সারবত্তা নেই। যদিও মার্চ পেরিয়ে, মে মাস পেরিয়ে অগাস্টে পা। যদিও একই তিমিরে অনুব্রত।