প্রকাশ সিন্হা, কলকাতা: গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) মামলায় BSF-এর পর এবার কাস্টমস অফিসারদের (Customs) জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সূত্রের খবর, গত তিন দিনে শুল্ক দফতরের ২ জন আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আরও দুই কাস্টমস অফিসারকে তলব করেছে CBI। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, গরুপাচারে শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের একাংশের প্রত্যক্ষ যোগ মিলেছে। তাঁদের যোগসাজশেই বাংলাদেশে গরু পাচার হত।
শুল্ক দফতরের দুই আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করল CBI
গরুপাচার মামলায় এ বার গোয়েন্দাদের নজরে আরও এক কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। BSF-এর পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ শুল্ক দফতরের দুই আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করল CBI।
গরুপাচারকাণ্ডে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি, গরু ব্যবসায়ী এনামুল হক এবং বিএসএফ কমাডান্ট সতীশ কুমার। চার্জশিটে CBI যদিও আগেই দাবি করে যে, গরুপাচারে শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের একাংশের প্রত্যক্ষ যোগ মিলেছে।
আরও পড়ুন: Kolkata News: ‘আমি পারিনি, আজ আমি অক্ষম, ক্ষমাপ্রার্থী’, নিজে গিয়েও ভর্তি করাতে পারেননি, রোগীর মৃত্যুতে হতাশ মদন
CBI-এর একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গরুপাচারের টাকা সরাসরি পৌঁছে যেত এই আধিকারিকদের কাছে। তাঁদের যোগসাজশেই ঘুরপথে গরু কিনে বাংলাদেশে পাচার করা হত। গোয়েন্দাদের দাবি, কিছু গরুকে বাছুর দেখিয়ে বাজেয়াপ্ত করে, তড়িঘড়ি তা নিলাম করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের একাংশ। এর জন্য গরু পিছু ওই আধিকারিকদের ৫০০ টাকা করে দিতেন এনামুল হক। এমনকি, নিলাম ওঠা গরুর দামের ১০ শতাংশ টাকা যেত তাঁদের কাছে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় কর্মরত ছিলেন এই আধিকারিকরা
সূত্রের খবর, গত তিনদিনে শুল্ক দফতরের দু'জন আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।আগামী সপ্তাহে আরও দুই কাস্টমস অফিসারকে তলব করেছে CBI. সংস্থা সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় কর্মরত ছিলেন এই আধিকারিকরা। তদন্তকারীরা মূলত জানতে চান,
কাদের নির্দেশে গরুপাচারকারীদের মদত দিতেন তাঁরা? গরু পিছু কত টাকা নেওয়া হত? কোন কোন পাচারকারীর সঙ্গে যোগ ছিল তাঁদের?
এর আগে কয়লাপাচার মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী CISF-এর ইন্সপেক্টর এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা ECL-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর। গরুপাচারে কোটি কোটি টাকা লেনদেনে অনেক বড় মাথা যুক্ত ছিলেন বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের।