প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে ফের সিবিআই তলব । সোমবার অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছে সিবিআই । গরুপাচার মামলায় ৬ বার CBI’এর তলব পেয়েও হাজিরা এড়ান অনুব্রত মণ্ডল। শেষে ১৯ মে প্রথমবার এই মামলায় সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন তিনি।


কেন তলব
সোমবার সকাল ১১ টা. নিজাম প্যালেসে অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের বাড়ি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই তলব, সিবিআই সূত্রে খবর । এবার তিনি হাজিরা দেবেন কি না, তা আইনজীবীদের সঙ্গে তাঁর আলোচনার পরই জানা যাবে। তবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সোমবার এখনও অনেক দেরি।


গত ১৯ মে , জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রতকে। অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চ তাঁকে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। আরও হয়ত চলত জিজ্ঞাসাবাদ, কিন্তু তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তাই সেখান থেকে সরাসরি চলে যান এসএসকেএম-এ । গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের আয়করের নথি, সম্পত্তির খতিয়ান ও ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট চেয়ে পাঠায় CBI । তা আইনজীবি মারফত জমাও দেন তিনি।  CBI সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডল যে নথি জমা দেন, তা খতিয়ে দেখা হয়। আয়কর দফতরের কাছেও নথি চেয়ে পাঠায় তারা। 


সিবিআইয়ের ম্যারাথন তল্লাশি
 গত ৩ অগাস্ট, অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা কেরিম খানের বাড়ি, কেরিম খানের ছেলের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী জিয়াউল হক ও পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের ৩টে বাড়ি এবং তাঁর অফিস ও পেট্রোল পাম্পে তল্লাশি চালায় CBI। সূত্রের খবর, উদ্ধার হয় প্রচুর টাকা। CBI সূত্রের দাবি, গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে এঁদের নাম উঠে এসেছে। ইলামবাজারের গরুর হাটের টাকা এঁদের হাত হয়েই বিভিন্ন প্রভাবশালীদের কাছে যেত বলে দাবি তদন্তকারীদের। এর উপর ভিত্তি করেই অনুব্রতকে ফের তলব করল সিবিআই, এমনটাই জানা যাচ্ছে । 


সায়গল হোসেনের জেল হেফাজত
অন্যদিকে, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল। সায়গলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ  দিয়েছে আসানসোলের সিবিআই আদালত। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গত ৯ জুন গ্রেফতার করে সিবিআই । ‘পাচারকারীদের সাহায্য করার পাশাপাশি, পাচারের টাকা থেকে সায়গল নিজেও লাভবান হয়েছেন’ অভিযোগ এমনটাই । গরু পাচারের টাকা লগ্নির ক্ষেত্রে সায়গল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।