সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ তৃণমূলের (TMC) বীরভূম (Birbhum) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। এর আগে এই মামলায় অনুব্রতকে নোটিস পাঠায় সিবিআই (CBI)। সেই মামলায় রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি।


‘তদন্তে সাহায্য করতে প্রস্তুত। কিন্তু কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য আবেদন’, জানিয়েছেন অনুব্রত। কাল তাঁর আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা।


১৫ মার্চ বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে তলব করা হয়েছে নিজাম প্যালেসে। এ নিয়ে চতুর্থবার তাঁকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, তদন্তের জন্য সোমবার হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল অনুব্রতকে। অথচ তিনি তা করেননি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বক্তব্য, এর আগেও দু’বার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত। অথচ অন্যান্য কর্মসূচিতে তাঁকে নিয়মিত দেখা হচ্ছে। তাই অনুব্রতকে চতুর্থবার নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 


আরও পড়ুন 'হাজিরা না দিলে আইনি পদক্ষেপ,' গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রতকে ফের সিবিআই তলব


এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি সিবিআই তলব পেয়ে হাজিরা দেননি অনুব্রত। সেদিনই দুপুরে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান তিনি। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। 


বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি ও তাঁর দেহরক্ষী সেইগেল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলকাতার নিজাম প্যালেসের অফিসে ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অনুব্রত সেদিনও হাজির হননি। 


সিবিআই সূত্রে খবর, ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে দশটায় নিজাম প্যালেসে অনুব্রতকে তলব করা হয়েছিল। আর সেদিনই দুপুর দেড়টা নাগাদ বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দেখা যায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান তিনি। 


এর আগে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় সিবিআই তলব করার পর এসএসকেএম হাসপাতালে দেখা গিয়েছিল অনুব্রতকে। 


সিবিআই সূত্রে দাবি, আইনজীবী মারফত অনুব্রত চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, গরু পাচার মামলার তদন্তে সহযোগিতায় তিনি রাজি। কিন্তু শারীরিক কারণে কলকাতায় সিবিআই অফিসে গিয়ে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। বোলপুরে তাঁর বাড়ির কাছাকাছি কোথাও ডাকা হলে সুবিধা হয়। 


গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এর আগেও দু’দফায় অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছিল সিবিআই। তখনও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সময় চেয়েছিলেন তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, চতুর্থ নোটিসের পরেও হাজিরা না দিলে অনুব্রতর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।