প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দুর্নীতিদমন শাখার কলকাতার দফতরে বড় ধরনের রদবদল (Kolkata CBI Transfer)। কলকাতা থেকে সরিয়ে, এখানকার প্রধান জয়দেবনকে দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়া হল। তাঁর জায়গায় আনা হল ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার পঙ্কজকুমার সিংহকে। নারদকাণ্ড, গরু পাচার, কয়লা পাচার, শিক্ষা ও নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে CBI-এর  দুর্নীতিদমন শাখা। তাই সর্বোচ্চ পদে এই রদবদল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। (Kolkata News)


নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর দুর্নীতিদমন শাখা। গত কয়েক বছর ধরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলছে সেখানে। কয়লা পাচার থেকে গরু পাচার, নারদ থেকে শিক্ষা এবং পৌর দুর্নীতি মামলাও রয়েছে তার মধ্যে। নিজাম প্যালেসের এই দুর্নীতি দমন শাখার প্রধান জয়দেবনকেই সরিয়ে দেওয়া হল। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পঙ্কজকে। সোমবারই কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি।


সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে যে সব মামলার তদন্ত চলছিল, সেই সবের কেস ডায়েরি ইতিমধ্যেই তদন্তকারী অফিসারদের কাছ থেকে চেয়ে পাঠিয়েছেন পঙ্কজ। গত কয়েক মাসে তদন্তকারীরা আদালতের প্রশ্নর মুখে পড়েন। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। সেই আবহে জয়দেবনকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: Anupam Hazra: ফের অনুপমের মুখে ‘ঘরশত্রু বিভীষণ’, নিশ্চয়ই ভেবে বলেছেন, মত দিলীপের


এ যাবৎ একাধিক বার কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তদন্তের গতি-প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। সিবিআই যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে না, রিপোর্টে যত্নের অভাব, গা ছাড়া মনোভাব রয়েছে বলে একাধিক বার আদালত তিরস্কার করে তদন্তকারীদের।


গত মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও সিবিআই-এর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সিবিআই-এর ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তও শেষ মেশ সারদা বা নারদ তদন্ত না হয়ে যায়।


মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা না করা নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সেই সময় বলতে শোনা যায়, "আমার নির্দেশের পরও সিবিআই মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। দীর্ঘদিন ছেড়ে রাখা হয়েছিল তাঁকে। আমার তো মনে হয় যোগসাজশ রয়েছে। আমার তো মনে হয়, সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ রয়েছে।মনে হয় সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ আনার বুদ্ধি দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা।"