প্রকাশ সিনহা, ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : আর জি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের দিন, সেমিনার রুমের বাইরে আশিস পাণ্ডের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। সেই থেকে এই টিএমসিপি নেতার গতিবিধি স্ক্য়ানারে ছিল বলেও সিবিআই সূত্রে দাবি । এবার আর জি কর মেডিক্য়ালে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সেই আশিস পাণ্ডেকে গ্রেফতার করল সিবিআই। কিন্তু এই আশিস পাণ্ডের সঙ্গে কি ধর্ষণ - খুনের ঘটনার তদন্তের কোনও যোগ আছে ? 


দেখে নেওয়া যাক , কে আই আশিস ? তার পরিচয়ই বা কী ? কোন কীর্তির জোরে আশিস পাণ্ডের নামে 'জুতো মারো তালে তালে' স্লোগান উঠেছিল ? তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন অর্থাৎ  ৯ অগাস্টের একটি ছবি ভাইরাল হয়, তাতে আশিস পাণ্ডেকে সেমিনার রুমের বাইরে দেখা গেছিল সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে। ৯ অগাস্ট সকালেই  নির্যাতিতা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়।


ওই দিন বেলা ১২টায় সল্টলেকের একটি হোটেলে ওঠেন আশিস। পরের দিন অর্থাৎ ১০ অগাস্ট  সকাল ১১টায় হোটেল থেকে চেক আউট করেন TMCP নেতা। সেই চেক ইন - চেক আউটও গোয়েন্দাদের মনে সন্দেহের উদ্রেক করে। চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় এর আগে CBI আশিসকে ২ বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাঁর মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সূত্রের খবর, মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখেই চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন আশিসের সল্টলেকের হোটেলে চেক ইনের তথ্য সামনে এসেছে। হাওড়ার সালকিয়ার একটি ফ্ল্য়াটে থাকেন আর জি কর মেডিক্যালের হাউসস্টাফ ও TMCP নেতা আশিস পাণ্ডে। সালকিয়ায় ফ্ল্য়াট আশিসের, তাহলে ৯ অগাস্ট কেন সল্টলেকের হোটেলে উঠলেন? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। এই উত্তরেই ধর্ষণ ও খুনের সঙ্গে আশিসের কোনও যোগসূত্র বের হয় কি না, খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।  তাই , TMCP নেতা আশিস পাণ্ডে আপাতত দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হলেও, ধর্ষণ- খুনের তদন্তের সঙ্গে আশিসের কোনও সম্পর্ক আছে কি না, তাও সিবিআই তদন্তে উঠে আসতে পারে।   


নিয়র চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, সন্দীপ ঘোষের মদতে আর জি কর মেডিক্যালে হুমকিরাজ চালাতেন এই আশিস পাণ্ডে। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে কয়েকদিন আগে একটি ভিডিও সামনে আনা হয়। যেখানে,  এক যুবক হাতে করাত নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি,  থ্রেট সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় আর জি করের মানিকতলার একটি হস্টেলে হামলা চালায় আশিস পাণ্ডের দলবল। সেখানে করাত হাতে যান কুণাল শাহ নামে আর জি কর মেডিক্যালেরই এক ছাত্র। পরে এই ঘটনায় মানিকতলা থানায় পরে হামলার অভিযোগ দায়ের হয়।