ঝালদা: ঝালদায় (Jhalda News) কংগ্রেস নেতা তপন কান্দু (Tapan Kandu Murder) হত্যাকাণ্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (CBI) জালে ‘ভাড়াটে খুনি’। ঝাড়খণ্ডের রামগড়ে থেকে ‘ভাড়াটে খুনি’কে পাকড়াও করল সিবিআই। ধৃত কলেবর সিংহের সঙ্গেই ছিল জাবির আনসারি, দাবি সিবিআই সূত্রের।
ঝালদায় তপন কান্দু খুনে পাকড়াও ‘ভাড়াটে খুনি’
ঝালদায় (Purulia News) গত পৌরসভা নির্বাচনে (Municipal Election) তপন কান্দুর বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন তাঁরই ভাইপো দীপক কান্দু। পৌর নির্বাচনে ভাইপোকে হারিয়ে জয়ী হন কাকা তপন। এরপর গত ১৩ মার্চ, বোর্ড গঠনের আগে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়ে যান তিনি।
তদন্ত শুরু হলে একে একে গ্রেফতার হন দীপক, তাঁর বাবা নরেন কান্দু, ঝালদার ধূপ ব্যবসায়ী আশিক খান, হোটেল মালিক সত্যবান প্রামাণিক এবং ভাড়াটে খুনি যোগসূত্রে অভিযুক্ত কলেবর সিংহ। এ বার ‘ভাড়াটে খুনি’ জাবিরের নাগাল পেল সিবিআই।
ঝালদায় পৌরবোর্ড দখল করতে, তপন কান্দুকে, তৃণমূল খুন করিয়েছে বলে শুরু থেকে অভিযোগ করে আসছে নিহতের পরিবার। তপনকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল, এমন অভিযোগও ওঠে। তাতে নাম জড়ায় ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের। ভাইরাল হয় একাধিক অডিও ক্লিপও।
১৩ মার্চ দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়ে যান তপন
যদিও দীপক কাকাকে খুন করিয়েছেন, এই অভিযোগ মানতে নারাজ তাঁর মা। তাঁর দাবি, এর পিছনে নেপাল মাহাতো রয়েছেন বলে এবিপি আনন্দে দাবি করেন তিনি। তাঁর দাবি ছিল, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তাই তাঁর উপর রাগ ছিল নেপালের। তবে নেপাল বলেছিলেন, "তপন কান্দুর স্ত্রী সিবিআই চেয়েছিলেন। কোর্টের নজরদারি তদন্ত চেয়েছিলেন। এর সঙ্গে আমার বা কংগ্রেসের কোনও যোগাযোগ নেই। বাবি কান্দু প্রথমেই তো বলেছিলেন সিবিআই তদন্ত হোক।"
উল্লেখ্য, তপন খুন হওয়ার পর, তাঁর ২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়লাভ করেন তাঁর আর এক ভাইপো মিঠুন কান্দু। ব্যবধান ৬ গুণ বাড়িয়ে ৭৭৮ ভোটে জয়ী হন তিনি। তা নিয়ে তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা বলেন, "এই জয় আমার স্বামীর রক্তের জয়, ঝালদার মানুষের জয়। ২ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ মিঠুনকে প্রার্থী করেছিলেন, আমিও চেয়েছিলাম পরিবার থেকেই প্রার্থী হোক। তৃণমূলের নেতারা চাননি যে, আমার স্বামী চেয়ারম্যানের আসনে বসুক। এই ওয়ার্ডের মানুষ তাদের ভালভাবে জবাব দিয়েছেন।"