কলকাতা: নবম-দশমে নিয়োগে দুর্নীতি (Recruitment Corruption), সিবিআইয়ের (CBI) চার্জশিট। সিবিআইয়ের চার্জশিটে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, কল্যাণময়, সুবীরেশ, শান্তিপ্রসাদ, অশোক-সহ ১২জনের নাম রয়েছে। ‘সরকারি পদে থেকেও চাকরি বিক্রির ষড়যন্ত্রে জড়িত, টাকার বিনিময়ে নবম-দশমে অযোগ্যদের চাকরি বিক্রি’-র বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ১২জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট সিবিআইয়ের।
খালি খাতা জমা দিয়েও মিলেছে নম্বর। এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যর (Subiresh Bhattarcharya) দিকেই আঙুল তুলেছে সিবিআই (CBI)।আদালতে (Court) বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, কোনও ব্যক্তির নির্দেশ ছাড়া কাজ করতেন না সুবীরেশ ভট্টাচার্য বা কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (Kalyanmoy Ganguly)। নবম-দশমে ১৮৩ জন প্রার্থীর নিয়োগ অবৈধ। এঁদের সকলের র্যাঙ্ক পরিবর্তন করা হয়েছে। আদালতে এ’কথা জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন। খালি খাতা জমা দিয়েও মিলেছে নম্বর। SSC-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যর দিকেই আঙুল তুলেছে সিবিআই।আদালতে বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, কোনও ব্যক্তির নির্দেশ ছাড়া কাজ করতেন না সুবীরেশ ভট্টাচার্য বা কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে সব নাম বলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন বিচারপতি। সিবিআই-র তদন্তকারী অফিসার আদালতে জানিয়েছেন, ১ হাজার উত্তরপত্রে নম্বর কারচুপি হয়েছে। তাঁর দাবি, এই উত্তরপত্রগুলিতে নম্বর হেরফের করা হয়েছে। সার্ভার পরীক্ষা করে নম্বর কারচুপির প্রমাণ মিলেছে, দাবি আইও-র। গোটা বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তদন্তকারী অফিসারের। তবে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকেও।
আরও পড়ুন, মাথার পিছনে আঘাত, সিঁথিতে ছেলের হাতে বাবা 'খুন'
সম্প্রতি সুবীরেশ ভট্টাচার্য ইস্যুতে, তৃণমূলের অধ্যাপক-সাংসদ সৌগত রায় বলেন, 'আমি খুব লজ্জিত। একজন উপাচার্য জেলে যাচ্ছেন। সুবীরেশ কী করে উপাচার্য হয়েছিলেন আমি জানি না।এক সময় তিনি শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তৃণমূল জমানায় তিনি অধ্যক্ষ-উপাচার্য সংগঠনের শীর্ষ পদ সামলেছেন। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। অত্যন্ত তাৎপর্য দেওয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সৌগত রায়। তিনি বলেন, একই লোক, তাঁর কী মহৎ গুণ, যে তাকে এসএসসি-র চেয়ারম্যান, আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শ্যামাপ্রসাদ কলেজের অধ্যক্ষ পদও ছাড়েননি, এগুলি কেন কেউ দেখেননি, আমি জানি না। তিনি গ্রেফতার হওয়ায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজেরও ক্ষতি হয়েছে। আর উপাচার্য পদের মহিমা, গরিমা অনেকটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পার্টির প্রতি কোনও আনুগত্য ছিল বলে আমি জানি না।'