প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : আর জি কর দুর্নীতিকাণ্ডে (R G Kar Scam Case) সিঁথিতে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই। শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন সিবিআইয়ের দুই অফিসার।

সিবিআইয়ের আর জি কর দুর্নীতি মামলার যিনি প্রধান তদন্তকারী অফিসার মণীশ উপাধ্যায় এবং তাঁর সঙ্গে আর একজন অফিসার কিছুক্ষণ আগেই তৃণমূল বিধায়কের সিঁথির বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন। এই বাড়িতে এর আগেও সিবিআইয়ের তরফে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। সুদীপ্ত রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ইডি আধিকারিকরাও একসময় এই বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন। প্রসঙ্গত, আর জি কর দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সুদীপ্ত রায়ের নাম উঠে আসে। ইতিমধ্যেই চার্জশিট জমা পড়েছে। সিবিআই সূত্রের খবর, ফের সুদীপ্ত রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তারা। সেই সূত্রেই আজ সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান। যদি সুদীপ্ত রায় এখন বাড়িতে নেই। তিনি যদি আসেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন সিবিআই গোয়েন্দারা।

আর জি কর মেডিক্যালের পর গত বছর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাজার হাজার টাকায় CCU এবং জেনারেল বেড বিক্রি, সেন্ট্রাল ল্যাবে দুর্নীতি, হাসপাতালে সিন্ডিকেট চক্র চালানোর অভিযোগে সরব হয় ছাত্র ইউনিয়ন। কাঠগড়ায় তোলা হয় সুদীপ্ত রায়কে। সেন্ট্রাল ল্যাবের এক কর্মী জয়ন্ত ঘোষের বিরুদ্ধেও অধ্যক্ষের কাছে নালিশ জানায় ছাত্র ইউনিয়ন। অধ্যক্ষের কাছে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট চালানোর অভিযোগও জানানো হয়। এবিষয়ে আগেই সুদীপ্ত রায় বলেছিলেন, "আমি বরাবর দুর্নীতি আর দালাল চক্রের বিরোধী, দায়িত্ব পাওয়ার পর দালাল চক্র ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছি।'' সেন্ট্রাল ল্যাবের অভিযুক্ত কর্মী জয়ন্ত ঘোষ জানিয়েছিলেন, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তা মেনে নেবেন।    

এর আগে আর জি কর মেডিক্যালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায়, সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে আরেক কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। গত বছর সেই অবস্থায়, মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের তরফে অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়। সেইসময় অভিযোগপত্রে বলা হয়েছিল, বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরিতে যে কিট বা রিএজেন্ট ব্যবহার করা হয়, সেগুলি বেসরকারি ডায়াগনিস্টিক সেন্টার বা ল্যাবরেটরিতে পাচার হয়। এছাড়াও হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেড হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয় যে, সুদীপ্ত রায় এবং তৃণমূলের কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা প্যাথলজিস্ট জয়ন্ত ঘোষের মদতে এই দুর্নীতি চলছে। এই অভিযোগ জমা পড়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।