অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) নির্দেশে মালদায় ৬ জায়গায় অভিযান চালান সিবিআই (CBI Raid)। অপহরণ করে জোর করে ধর্মান্তরণের (Forcible Conversion) অভিযোগে ২ বছর আগে যে মামলা দায়ের হয়েছিল, তাতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। চলতি বছরের জুনে লাগাতারভাবে তদন্ত চালাতে ফের সিবিআইকে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মোতাবেক, মালদার মোথাবাড়ি ও কালিয়াচকের ৬ জায়গায় আজ অভিযান সিবিআইয়ের। ২০২১-এ কালিয়াচকে রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করতে বেরোন ২ জন। অভিযোগ, এই ২ জনকে অপহরণ করে জোর করে ধর্মান্তরণ করা হয়।


বিশদ যা উঠে এল..
দুই ব্যক্তি রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করবেন বলে কালিয়াচকের বাড়ি থেকে বেরোন। সেটা ২০২১ সাল। তার পর থেকে তাঁদের খোঁজ ছিল না, দাবি পরিবারের। পরবর্তীকাে জানা যায়, ওই দু'জনকে অপহরণ করে বলপূর্বক অপহরণ করা হয়েছে। তাঁদের পরিবার প্রথমে এই নিয়ে কালিয়াচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। হাইকোর্টের তরফে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় যার রিপোর্ট জমা পড়ে এপ্রিল মাসে। এর পরের শুনানি ছিল জুনের ৬ তারিখে। সে দিন হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, শুধু রিপোর্ট জমা দিলে হবে না। লাগাতারভাবে তদন্ত করতে হবে। তার পরই একটি নতুন এফআইআর দায়ের হয় ৪ জুলাই। সিবিআই-র অ্যাডিশনাল এসপি-র তরফে দায়ের হয় ওই এফআইআরটি। তার পর থেকেই তদন্তে আরও গতি এসেছে। ইতিমধ্য়ে ৭ অভিযুক্তের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। বেশ কিছু নথি ও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু কেন ওই দুজনকে জোর করে ধর্মান্তরণ করা হল? আপাতত তদন্তোর মাধ্যমে এই উত্তরই খুঁজতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এমন সময়ই ঘটনাটি ঘটেছে, যখন পঞ্চায়েত ভোটের মুখে নানা অশান্তির ঘটনায় তপ্ত রাজ্য। কোথাও হিংসা, কোথাও মালার মধ্যে বোমা রেখে হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগে তোলপাড় বিভিন্ন এলাকা।  


দেহ উদ্ধার...
এদিন নির্দল প্রার্থীর স্বামীর রহস্যমৃত্যু  ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দেয় বীরভূমের মহম্মদবাজারের সারেন্ডা গ্রামে। প্রার্থী ছবি মাহারার স্বামী দিলীপ মাহারা বিজেপির বুথ সহ-সভাপতি। বাড়ির কাছে মাঠ থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, দেহের কাছেই পড়েছিল গুলির খোল। মৃতের নাম দিলীপ মাহারা।মৃতের স্ত্রী, বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী ছবি মাহারা এবার টিকিট না পেয়ে হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। অভিযোগ, মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল তৃণমূল। হুমকিও দেওয়া হয়। পুলিশকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে দাবি পরিবারের। এর মধ্যেই গতকাল সন্ধে থেকে নিখোঁজ হয়ে যান নির্দল প্রার্থীর স্বামী। আজ সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধারে গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, গত কালই দিলীপ নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও ব্য়বস্থা নেয়নি পুলিশ, অভিযোগ তাঁদের। এতেই শেষ নয়। পুলিশ যখন দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া খোল তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছিল, তখন বাধা দেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, গোটা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা। 


আরও পড়ুন:স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন? জরুরি তথ্যগুলো জেনে রাখুন