কলকাতা: আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। ত্রীমুখী লড়াই-এ কোমর বাঁধছে তিন দল। চলছে জোর কদমে প্রচার। বুধবার প্রচারে বেরিয়ে ভবানীপুরের গুরুদ্বারে জনসংযোগ সারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রচারে বেরিয়ে হঠাৎই সেখানে পৌঁছন তিনি। উপস্থিত সকলের সঙ্গে কথা বলেন।
এরপর তিনি বলেন 'এখানে আগেও এসেছি। এখানে এলে মন শান্ত হয়ে যায়।' এ দিন পঞ্জাবের প্রসঙ্গ টেনে নেত্রী বলেন, কবিগুরু জাতীয় সঙ্গীতেও পঞ্জাব-সিন্ধু-গুজরাত-মরাঠা-দ্রাবিড়-উৎকল-বঙ্গের কথা লিখেছেন। পঞ্জাব থেকে শুরু করে বাংলায় এসে শেষ করেছেন বিশ্বকবি।' পঞ্জাবের ইতিহাস বাংলার সঙ্গে সম্পর্কিত। আমাদের সম্পর্ক স্বাধীনতার পর থেকে। পঞ্জাব না থাকলে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার সাহস হত না।
মমতার কথায়, 'আমি এই গুরুদ্বারে বহুবার গিয়েছি। আমি আন্দামান জেলে গিয়ে দেখেছি, দেশের জন্য যাঁরা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাঁদের অধিকাংশই পঞ্জাবি এবং বাঙালি। সে স্বর্ণ মন্দির হোক বা দিল্লি কলকাতার গুরুদ্বার। আমি এই গুরুদ্বারা দেখার সুযোগ পেয়েছি। এ দিন তিনি আরও বলেন, ২০ বছর আগে পঞ্জাবের হর জেলা পরিদর্শন করেছি, তখন আমি একটু পঞ্জাবি ভাষাও শিখেছিলাম। আমি পঞ্জাবি বুঝতে পারি। আমি গুরুদ্বারে গিয়ে হালুয়া খেতাম।' শেষে মহিলাদের সঙ্গে ছবি তুলে বেরিয়ে যান সেখান থেকে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টো নাগাদ আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়ন জমা দেন মমতা। সঙ্গে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমের স্ত্রী এবং প্রযোজক নিসপাল সিংহ রানে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ দিন কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয় আলিপুর সার্ভে বিল্ডিং চত্বর। ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। বামেদের প্রার্থী আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস।
১০ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন জমার পর মহারাষ্ট্র নিবাসে গণেশ পুজোয় সামিল হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে কালীঘাটে ঘরের কাছে গণেশ পুজোয় সামিল হন ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী। এদিন কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে, ভবানীপুরের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে গাড়ি থেকে নেমে, ছোট্ট করে জনসংযোগ সেরেছিলেন তিনি। সবমিলিয়ে হোমগ্রাউন্ডে তৃণমূল নেত্রীর জয়ের ব্যাপারে পুরোদস্তুর আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল।
উল্লেখ্য, ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে আজ সকাল থেকেই প্রচারে নেমেছেন ফিরহাদ হাকিম। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই লাগাতার প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল। এদিন বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল থেকে পথে নেমেছেন পরিবহণমন্ত্রী। চেতলার বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে চলছে প্রচার।