আবীর দত্ত এবং পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) বাড়িতে সিবিআই (CBI)। পুরমন্ত্রীর বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পুর নিয়োগ দুর্নীতির মামলার ভিত্তিতেই কি মেয়রের (Mayor) বাড়িতে এবার সিবিআই হানা? এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 


সূত্রের খবর, বাড়ির মধ্যেই রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কয়েকজন বাড়িতে প্রবেশ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও চেতলায় মেয়রের বাড়ির সামনে ঘিরে রয়েছে সুরক্ষাকর্মীরা।  পাশাপাশি বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনীও রয়েছে বাড়ির বাইরে। এর মধ্যেই ফিরহাদ অনুগামীরা ভিড় জমিয়েছেন মেয়রের বাড়ির সামনে। সেখান থেকে স্লোগানও দিতে শুরু করেছে তাঁরা। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে ইডির হানার পর পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে সিবিআই।  চেতলায় ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি ঘিরল কেন্দ্রীয় বাহিনী। 


তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রীর অনুগামীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, রবিবার নিজাম প্যালেসে সকালে ছিল তৎপরতার ছবি। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চেতলায় আসেন সিবিআইয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এই মুহূর্তে চেতলা অগ্রণী ক্লাবের পাশে মেয়রের বাড়ি যেন কার্যত দুর্গের চেহারা নিয়েছে। ফিরহাদ হাকিমের অনুগামীরা অনেকেই বলেছেন, এটি বিজেপির কাজ। বাইরে থেকে নথি ঢুকিয়ে তৃণমূল নেতাকে কলুষিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই মর্মে স্লোগানও তোলে তাঁরা। 


যদিও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের বেশ কিছু তথ্য জানতেই মেয়রের বাড়িতে এসেছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তল্লাশিও হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এদিকে, ফিরহাদের বাড়িতে পৌঁছেছে ফিরহাদ-কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম। কিন্তু তাঁকেও বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে, এমনটাই অভিযোগ।  তবে, দীর্ঘ বার্তালাপের পর তাঁকে বাবার কাছে যেতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে খবর।     


প্রসঙ্গত, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ৫ অক্টোবর খাদ্যমন্ত্রী তথা মধ্যমগ্রাম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান রথীন ঘোষের বাড়িতে ১৯ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় ED। একাধিক পুরসভা ও পুরসভার চেয়ারম্যান, প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও পুর আধিকারিকদের বাড়ি-সহ ১৪টি জায়গায় তল্লাশি চলে। এর ঠিক ৩ দিনের মাথায় আজ পুরমন্ত্রীর বাড়িতে আরেক কেন্দ্রীয় এজেন্সি।                               


আরও পড়ুন, সিকিমের বিপর্যয়ে উত্তরবঙ্গ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, তা নিয়ে কোনও হেলদোল নেই মোদি সরকারের! অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর