কলকাতা: ১০০ দিনের (MGNERGA) কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের (Central Team) ২ সদস্য। শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে (Calcutta Airport) এসে পৌঁছন তাঁরা।কলকাতা থেকে তাঁরা মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন এর মধ্য়েই। বেলডাঙার ২ নম্বর ব্লকে ১০০দিনের কাজ খতিয়ে দেখবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সূত্রের খবর, ২২ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। '১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির খোঁজে আসা কেন্দ্রীয় দলকে স্বাগত', ট্যুইট বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari)।


প্রেক্ষাপট...
১০০ দিনের কাজে টাকা পায়নি রাজ্য, এই নিয়েও জলঘোলা চলছে। বাংলাকে কেন এমন বঞ্চনা? সম্প্রতি এক বৈঠকে এই প্রশ্ন করেই কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের বেকায়দায় ফেলেন নবান্নের পদস্থ আমলারা। যদিও তোপের মুখে পড়েও কোনও উপযুক্ত জবাব পর্যন্ত দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। গত সোমবার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের এম্পাওয়ার্ড কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের আমলাদের বৈঠক হয়। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কর্তারা প্রশ্ন করেন, কেন্দ্রের সব শর্ত মেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং প্রত্যেকটি চিঠির উত্তর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেওয়ার পরও কেন হকের বরাদ্দ আটকে রাখা হচ্ছে? জবাবে কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব পর্যায়ের আমলারা জানান, সংশ্লিষ্ট আইনের (এমজিএনআরইজিএ) ২৭ নম্বর ধারা ‘রিভোক’ বা খারিজ না হলে এই বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। অন্যদিকে , পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজে জবকার্ড দুর্নীতির অভিযোগে, ফের কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-কে চিঠি লেখেন শুভেন্দু অধিকারী। চিঠিতে বিরোধী দলনেতা অভিযোগ জানিয়েছেন, ১ কোটি ১৭ লক্ষ ভুয়ো জবকার্ড তৈরি করা হয়েছে। বিষয়টি ক্যাগ-কে দিয়ে তদন্তের আর্জিও জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটারে একটি নথি তুলে ধরে, বিরোধী দলনেতা লেখেন, দুটি ব্লকে কীভাবে ভুয়ো জবকার্ড হোল্ডারদের মাধ্যমে টাকা নয়ছয় করা হয়েছে এটা তারই প্রমাণ। সেই সঙ্গে তিনি আরও দাবি করেছেন, গত ১০ বছরে রাজ্যে প্রায় ১ কোটি ১৯ লক্ষ জাল জবকার্ডের মাধ্যমে, বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার করা হয়েছে। তার পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা হতে পারে।                                                            


আরও পড়ুন:'আমার কাছে কোনও টাকা পৌঁছায়নি, কুন্তল-শান্তনুকে চিনি' দাবি 'কালীঘাটের কাকুর'