আবির দত্ত, কলকাতা: তীব্র গরমে (Weather Update) বিদ্যুতের বাড়তি চাহিদা সামাল দিতে এবার সিইএসসির (CESC) ভরসা ভিনরাজ্য থেকে আনা জেনারেটর। আনা হয়েছে ট্রান্সফর্মারও। সব মিলিয়ে শ'খানেক ট্রান্সফর্মার ও জেনারেটর নিয়ে আসা হয়েছে অন্যান্য রাজ্য থেকে।
বিদ্যুতের বাড়তি চাহিদা: কখনও ভোররাত থেকে চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ,কখনও ভরদুপুরে হঠাৎ কয়েকঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকছে ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই। ৪০-এর ওপরে তাপমাত্রার ঘোরাফেরা করার মধ্যেই, এ যেন গোদের ওপর বিষফোঁড়া। তীব্র গরমে ক্রমশ বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। আর এই বাড়তি চাহিদা সামাল দিতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে শহর ও শহরতলির বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা সিইএসসি-কে।
মঙ্গলবারই ৭০ বছরের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছে কলকাতার তাপমাত্রার পারদ। বুধবার ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ছিল কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।অহস্য গরমে রাজ্যবাসীর নাভিশ্বাস উঠলেও এখনই কোনও স্বস্তির খবর দিতে পারেনি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে শনিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতিতে রয়েছে বিদ্যুতের বাড়তি চাহিদাও।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সিইএসসি-র তরফে ভিনরাজ্য থেকে আনা হয়েছে ১০০টি জেনারেটার ও ট্রান্সফরমার। শুধুমাত্র মুম্বই থেকেই আনা হয়েছে ২০ টি জেনারেটর।১৯ এপ্রিল থেকে কলকাতায় এসেছে জেনারেটরগুলি। বিভিন্ন এলাকায় এগুলিকে রাখা হয়েছে পাওয়ার ব্যাকআপ হিসাবে। সিইএসসির তরফে জানানো হয়েছে, ১০০ জেনারেটর ও ট্রান্সফর্মার আনা হয়েছে যাতে যেখানে পাওয়ার কমে যাচ্ছে বা বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে সেখানে সামাল দেওয়া যায়। তাই শহর জুড়ে বিশেষ করে CESC-র আওতায় থাকা এলাকায় ছড়িয়ে রাখা হয়েছে জেনারেটরগুলি।এর ফলে, হঠাৎ বেড়ে যাওয়া বিদ্যুতের বিপুল চাহিদার কারণে লোডশেডিং অনেকটাই বন্ধ হবে বলে আশা করছে সিইএসসি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ১৯৫৪ সালে ২৫ এপ্রিল কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রির ঘর।বুধবার কলাইকুণ্ডার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫. ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।পানাগড়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৪. ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মেদিনীপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'দিল্লির পরিযায়ী পাখিরা বাংলায় এসে বাংলা সম্পর্কে মিথ্যে ছড়ায়,' ফের আক্রমণে মমতা