ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: উৎসবের মরশুমে এবার ছটপুজো। রবিবারও সূর্যদেবের উপাসনায় শামিল হলেন বহু মানুষ। সোমবারও গঙ্গার ঘাটে ঘাটে ভিড় দেখা যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। রবিবার রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরে কড়া পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে দুই সরোবরে ছটপুজোয় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। বিকল্প হিসেবে কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম জলাশয়। সেখানেই পুজো সারেন বহু মানুষ। কালও মানুষের আনাগোনা থাকবে বলে অনুমান। (Chhath 2023)
দুর্গাপুজো, কালীপুজোর পর এবার ছটপুজো। রবিবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে সূর্যদেবের উপাসনা। গঙ্গার ঘাটে ঘাটে ভিড় জমান দলে দলে মানুষ।জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে, এবারও দক্ষিণ কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর এবং পূর্ব কলকাতার সুভাষ সরোবরে ছটপুজোয় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বিশৃঙ্খলা রুখতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। (Chhath in Kolkata)
সেই মতো, শহরের দুই ফুসফুসকে দূষণমুক্ত রাখতে দুই সরোবরের গেটে টাঙানো হয়েছে নোটিস। বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করে ঘিরে দেওয়া হয়েছে সরোবরের ফটক। প্রত্য়েক ফটকে মোতায়েন থাকছে পুলিশ। বেলেঘাটার সুভাষ সরোবরে টিন দিয়ে ঘেরা হয়েছে খোলা জায়গা। ছটপুজোর জন্য শহরের একাধিক জায়গায় তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম জলাশয়।
আরও পড়ুন: ‘অভিষেকের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছি বলেই হেনস্থা’, গাড়িতে ধাক্কা মামলায় গড়ফা থানায় হাজিরা দিয়ে বললেন নৌশাদ
ছটজাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে, সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অতীতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সরোবরে ছটপুজো হয়েছে, তার জেরে দূষিত হয়েছে পরিবেশ। পুলিশের সামনেই ভাঙা হয়েছে আইন। গত তিন বছরের মতো এবারও তাই নিরাপত্তা বজায় রাখাই প্রশাসনের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।
আর এই উৎসবের মরশুমেও অব্যাহত রাজনৈতিক তরজা। ছটের ছুটি নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বাংলরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, "দিল্লি ছুটি দেয় না। আমাদের সরকার ইদ, ছটে ২দিন ছুটি দেয়।" সেই নিয়ে, প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, মমতা বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী।
রবিবার কলকাতা-সহ গোটা দেশে পালিত হয়েছে ছট পুজো৷ সোমবার পর্যন্ত চলবে পুজো। এদিন গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে গিয়ে পুণ্যার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী। খতিয়ে দেখেন নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।
পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনের অন্তত ৭০টি আসনে হিন্দিভাষীদের আধিপত্য। ২০১১-র জনগণনা অনুযায়ী রাজ্যে প্রায় ৬৪ লক্ষ হিন্দিভাষী ভোটার আছেন। শেষ জনগণনা অনুযায়ী, কলকাতায় অবাঙালি ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৫১ শতাংশ। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর এবং আসানসোলের মতো কেন্দ্র, যেখানে একটা বড় অংশের ভোটারই হিন্দিভাষী, সেখানে বিজেপি-র কাছে পরাজিত হতে হয় তৃণমূলকে।