সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) রিপোর্ট দেখে সন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। বিচারপতির মন্তব্য, রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে সিবিআই ভাল কাজ করেছে। তাদের ধন্যবাদ। মূলচক্রীকে তারা খুঁজে বের করতে পারবে বলে আদালত আশাবাদী।
কী জানালেন প্রধান বিচারপতি?
প্রাথমিকের টেটে, OMR শিট নষ্টের মামলায় মঙ্গলবার সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার তাঁর গলায় সেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাজ নিয়ে প্রশংসার সুর। বুধবার এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই-এর জমা পড়া রিপোর্ট দেখে, বিচারপতি বলেন, সিবিআই নিঃশব্দে দিল্লি ও গাজিয়াবাদে হানা দিয়ে মূল নথি উদ্ধার করতে পেরেছে। তারপর তারা স্কুল সার্ভিস কমিশনের তথ্যর সঙ্গে যাচাই করছে। অপরাধীকে ধরতে হবে। রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে সিবিআই ভাল কাজ করছে। তাদের ধন্যবাদ। তারা নিঃশব্দে অনেক অগ্রগতি করেছে। মূলচক্রীকে খুঁজে বের করতে পারবে বলে আদালত আশাবাদী। দেশকে বাঁচাতে সিবিআই আধিকারিকদের নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। যে কোনও ভাবেই দেশকে বাঁচাতে হবে, সেজন্যই সিবিআই, ইডি এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থাগুলি আছে।
আরও পড়ুন, পরীক্ষায় শূন্য পেয়েও কমিশনের সার্ভারে প্রাপ্ত নম্বর ৫০, অবশেষে দুর্নীতি মানল এসএসসি
প্রসঙ্গত, এর ২৪ ঘণ্টা আগেই সিবিআইয়ের’এর কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে হেফাজতে পেয়েও CBI কেন জিজ্ঞাসাবাদ করল না, মঙ্গলবার এই বিষয়টি নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় উষ্মা প্রকাশ করে বলেছিলেন, শুনলাম শেষ ৫ দিন সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। তাই তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
শান্তিপ্রসাদ সিন্হার ক্ষেত্রেও ওই বিচারকই প্রশ্ন তোলেন যে, তাঁর থেকে সিবিআই যদি তথ্য বের করতে না পারে, তাহলে কী লাভ? পরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর অর্ডারের কপিতে উল্লেখ করে লেখেন, আশা করব, সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা এমন কাউকে তদন্তের দায়িত্ব দেবেন না, যিনি হেফাজতে থাকা একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আদালত আশাবাদী যে, সিবিআই তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে। দেশের বড় সংখ্যক মানুষও সিবিআই-এর ওপরে সেই আশা রাখেন।
রাজনৈতিক বাগযুদ্ধ চলছে নিজস্ব গতিতে। কিন্তু, হাজার হাজার শিক্ষিত বেকার কবে সুরাহা পাবেন? এসএসসির মতো মত সংস্থা ঘিরে যারা দুর্নীতির আখড়া খুলে বসেছিল, তারা কবে শাস্তি পাবে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।