জলপাইগুড়ি : কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বকেয়া বঞ্চনার অভিযোগ বারবার শানিয়েছে রাজ্য। একাধিকবার রাজ্যের শাসকদলের পক্ষে জোরদার করা হয়েছে আন্দোলন-দাবিও। এবার রাজ্যের 'পাওনা' আদায়ে এবার সরাসরি মাঠে নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দিল্লি গিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে সাক্ষাতে 'বকেয়া' ইস্যু নিয়ে আলোচনার বার্তা দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। 


জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাটের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, '১০০ দিনের কাজের ৭ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। এটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। আদায় করতে আমরা দিল্লি যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছি।' তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছেন, চলতি মাসের ১৮, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর রাজধানী দিল্লিতে থাকবেন তিনি। 


বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের (Opposition INDIA Alliance) বৈঠক কয়েক রাজ্যের বিধানসভা ভোটের পর পিছিয়ে গিয়েছিল। যা হওয়ার কথা আগামী মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর)। যে বৈঠকে যোগ দিতেই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় আদৌ কংগ্রেস, বামেদের সঙ্গে ঘাসফুল শিবিরের আসন রফা হবে কি না, তা নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যে বৈঠকে। আর সেই বৈঠকের পাশাপাশি রাজ্যের বকেয়া নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সারবেন তিনি।


আগে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সঙ্গে বাংলার বকেয়া ইস্যুতে একাধিকবার বিতর্কে জড়ান তৃণমূলের সাংসদরা। যে দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাধ্ধি নিরঞ্জনের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল ও বঞ্চিতদের একাংশের বৈঠক ঘিরে কয়েকমাস আগে তোলপাড় হয়েছিল দিল্লিতে। যা নিয়ে তপ্ত আলোচনার ঝড় ওঠে সংসদে এবারের শীতকালীন অধিবেশনেও।


রাজ্যের অভিযোগ যেমন কেন্দ্রের থেকে বকেয়া না পাওয়ার, তেমনই কেন্দ্রের পাল্টা দাবি অস্বচ্ছতার জেরে অর্থ বন্ধের। গোটা বিষয়টা যেভাবে জট পাকিয়েছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া রাস্তা বেরনো মুশকিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হতে পারে বলেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। এবার দেখার পিএমও-র তরফে কখন জানানো হয় আলোচনার সময় সম্পর্কে।


বৈঠকে বসার আগে অবশ্য কেন্দ্রকে চেনা মেজাজে নিশানা করতে ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ, 'কেন আমাদের আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখা হয়েছে ? বাংলার টাকা দেয় না, আর মিথ্যে কথা বলে।  দিল্লি রাজ্য থেকে কর নিয়ে চলে যায়, অথচ টাকা দেয় না।  ঝুট বোলে, কউয়া কাটে। 
এই বিজেপি সরকার বেশিদিন থাকলে সব ছিনিয়ে নেবে, গরিবকে কিছু দেবে না।'


আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফর, টেট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে দিলীপ


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে