রাজা চট্টোপাধ্যায়, দার্জিলিঙ: কপ্টার ক্র্যাশে (Chopper Crash) নিহত জেনারেল বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) দেহরক্ষী সতপাল রাইয়ের (Satpal Rai) মরদেহ কাল ফিরতে পারে দার্জিলিংয়ে (Darjeeling)। পরিবার সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে। ঘরের ছেলেকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তৈরি হচ্ছে দার্জিলিংয়ের তাকদা।


দিল্লিতে যখন জেনারেল রাওয়াতের শেষকৃত্য চলছে, তখন শূন্য চোখে, দার্জিলিংয়ের তাকদার বাড়ির দরজার দিকে তাকিয়ে বসে আছেন হাবিলদার সতপাল রাইয়ের স্ত্রী। হাবিলদার সতপাল রাই। জেনারেল বিপিন রাওয়াতের ১০ বছরের দেহরক্ষী। বুধবার তামিলনাড়ু-র কুন্নুরে, MI-17 V5 হেলিকপ্টারের আরেক সওয়ারি। কপ্টার ক্র্যাশে তিনিও প্রাণ হারিয়েছেন। 


শুক্রবারও সতপাল রাইয়ের মরদেহ পৌঁছয়নি দার্জিলিংয়ের তাকদার বাড়িতে। নিহত সতপাল রাইয়ের আত্মীয় শরৎ রাই বলেন, "সেনার তরফে জানানো হয়েছে, রক্তের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে, তাই আজ আসবে না, কাল আসতে পারে বলে জানিয়েছে সেনা, ওকে যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া হোক।" 


আরও পড়ুন, 'বাবা ছিলেন দেশনায়ক, আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু', লিড্ডারের শেষকৃত্যে শোকবিহ্বল কন্যা আশনা


জেনারেল রাওয়াতের মেয়ে কৃতিকা ও তারিণী, কিংবা ব্রিগেডিয়ার লিড্ডারের মেয়ে আশনা কাউকেই সামনে থেকে দেখেনি সতপালের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে মুসকান।  শুধু জানে বাকি ৩ জনের মতোই তারও বাবা হারিয়ে গেছেন কপ্টার ক্র্যাশে। নিহত সতপাল রাইয়ের মেয়ে মেয়ে মুসকান বলেন, "আমাকে বাবা সবসময় বলতেন নিজের ভবিষ্যত নিজে দেখবে, আমি পুলিশে চাকরি করতে চাই।" 


সকাল থেকে সন্ধে, প্রচুর লোকজন আসছেন সতপাল রাইয়ের এই বাড়িতে। শোকের আবহ। তারই মধ্যে গ্রামজুড়ে চলছে ‘ঘরের ছেলেকে শেষশ্রদ্ধা জানানোর প্রস্তুতি। 


এদিকে, শুক্রবারই শেষবিদায় জানান হয় দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত ও স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াতকে(Chief of Defence Staff General Bipin Rawat)। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জেনারেল বিপিন রাওয়াতের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ব্রার স্কোয়ারে। ১৭ বার তোপধ্বনিতে জেনারেল রাওয়াতকে শেষশ্রদ্ধা জানানো হয়। একইসঙ্গে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াতেরও(Madhulika Rawat )। ছিলেন দুই মেয়ে কৃতীকা ও তারিণী।