প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: কালীগঞ্জের (Nadia Kaliganj) মোলান্দিতে উদ্ধার হওয়া ৬২টি সকেট বোমা নিষ্ক্রিয় করল সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াড (Bom Squad)। জানা গিয়েছে, কালীগঞ্জের মোলান্দি গ্রামে সিপিআইএম নেতা হকসাদ মণ্ডলের বাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই বোমা গুলি। তবে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটানোর আগেই বাঁচিয়ে দিল বম্ব স্কোয়াড। 


গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, কালীগঞ্জ থানার পুলিস বুধবার সকালে ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে চারটি ড্রামে রাখা ৬২টি সকেট বোমা উদ্ধার করে। সিআইডি বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের সদস্যরা এসে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে। উল্লেখ্য, গত মাসেই ওই এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় কালীগঞ্জ থানার ওসি সহ পাঁচ জন আহত হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, গত মাসের শুরুতেই কালীগঞ্জে (Kaliganj) পুলিশকে (Police) লক্ষ্য করে বোমা মারার ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সেই এলাকায় বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল।


কালীগঞ্জের (Kaliganj) মোলান্দি এলাকায় চাষের জমিতে একটি বোমা ভর্তি ড্রাম পড়ে থাকতে দেখেছিলেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ওই এলাকায় যায় পুলিশ। তাঁরা এলাকাটি ঘিরে রাখেন। এরপরই বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়। এদিকে কিছুদিন আগেই কালীগঞ্জের মোলান্দিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় ওসি সহ পাঁচ জন আহত হন। আর বোমা মারার ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তিনটি ড্রামে ২৭টি বোমা উদ্ধার হয়। বোমা গুলি নিষ্ক্রিয় করেছিল বম্ব স্কোয়াড।


পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রায় সপ্তাহেই বোমা উদ্ধার হচ্ছে। রাজ্যের একাধিক জেলার তালিকার মধ্য়ে বোমার উদ্ধারের তালিকায় প্রথম সারিতে বীরভূম। সম্প্রতি ফের বোমা উদ্ধার হয়েছে এবার বীরভূমে। তারাপীঠ থানার খামেডডা গ্রামে থেকে প্রচুর বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।জানা গিয়েছে, খামেডডা কোয়েল পুকুরের  ধার থেকে এই বোমাগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। প্লাস্টিকের চারটি বালতিতে এই বোমা গুলি রাখা ছিল বলে জানা গিয়েছে। 


আরও পড়ুন, তুষারধসে নিহত শিলিগুড়ির বাসিন্দা, সৌরভের নিথর দেহ পৌঁছল শক্তিগড়ের বাড়িতে


সম্প্রতি পাড়ুই থানার ভেড়ামারি গ্রাম থেকে তিনটি প্লাস্টিকের ড্রাম ভর্তি বোমা (Bomb Rescue) উদ্ধার করে পাড়ুই থানার পুলিশ (Police)। বোমা যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়, সেই এলাকা প্রথমে ঘিরে রেখেছিল পুলিশ (Police)। পাশাপাশি কিছুদিন আগে শুধুই বোমা উদ্ধার নয়, বোমা বিস্ফোরণও হয়েছিল বীরভূমের ওই এলাকায়। পাড়ুইয়ের এই ভেড়ামারি গ্রামেই তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য শেখ হাফিজুলের বাড়ির গোয়াল ঘরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় গোয়ালঘর।