বাচ্চু দাস, দার্জিলিং: সিকিমে তুষারধসে (Sikkim Avalanche )নিহত শিলিগুড়ির (Siliguri) বাসিন্দা (Sourav Roy Chowdhury) সৌরভ রায় চৌধুরী নিথর দেহ ( Deadbody)এসে পৌঁছল শক্তিগড়ের বাড়িতে (Saktigarh) । সিকিম প্রশাসনের পক্ষ থেকে মরদেহ গাড়ি করে বাড়িতে মৃতদেহ পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিহত সৌরভের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব (Goutam Deb)। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
প্রসঙ্গত, উত্তর সিকিমে ভয়াবহ তুষারধস (Sikkim Avalanche), ইতিমধ্য়েই পর্যটকের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ছাঙ্গু লেক যাওয়ার পথে নাথুলা বর্ডারের কাছে তুষারধস নামে। উত্তর সিকিমে ভয়াবহ তুষারধসে আহতও একাধিক। ১৭ মাইলের কাছে তুষারধসে বহু পর্যটক আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সিকিমের ছাঙ্গু লেক, নাথুলা বর্ডার পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় স্থান। সিকিমে গেলে এই দুই জায়গায় ঘুরতে যায় না, এমন পর্যটক নেই বললেই চলে। আর সেখানেই এবার ভয়ঙ্কর বিপর্যয়।
সিকিমের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য ছাঙ্গু লেকের কাছে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, পর্যটকরা যখন পায়ে হেঁটে যাত্রী থাকলেও ছাঙ্গু লেক যাওয়ার পথে নাথুলা বর্ডারের কাছে ভয়ঙ্কর তুষারধস নামে। একাধিক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর ।ক্রমশ বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। ১৭ মাইলের কাছে তুষারধস, বহু পর্যটক আটকে থাকার আশঙ্কা। সিকিম পুলিশ, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দল সহ উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। অনুমান করা হচ্ছে যে তুষারধসের সময় ওই এলাকায় ১৫০ জনেরও বেশি পর্যটক ছিল।
আরও পড়ুন, বাঁকুড়ায় প্যারাসুট থেকে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু তরুণ বায়ুসেনার
গতবছর বৃষ্টির জেরে সিকিমের ( Sikkim ) সিংতামে ধস নামে। এমন আরও ধস নামার আশঙ্কার কথাও শুনিয়ে রেখেছিলেন আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তারা। তাই পর্যটকরা ভয়কে সঙ্গী করেই ব্যাগ পিঠে তুলে নেন। ধস নামে নেপালে ( Nepal Disaster )। আর তার জেরে নেপালে গিয়ে ধসে আটকে পড়েন বহু বাঙালি পর্যটক। মুক্তিনাথ দর্শনে যান রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাঙালি পর্যটকরা। প্রায় ১৫টি জায়গায় ধস নেমেছে। এর ফলে আটকে পড়ে পর্যটক বোঝাই একাধিক গাড়ি। খাবার ও পানীয় জলের সমস্যাও প্রকট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ঝর্নার জল খেতে বাধ্য হন পর্যটকরা। দিল্লির তরফে নেপাল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টাও করা হয়।