কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: প্রবল বিতর্কের মুখে আপাতত স্থগিত সিভিক ভলান্টিয়ারদের স্কুলে পড়ানোর সিদ্ধান্ত। আপাতত স্থগিত সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রাথমিক স্কুলে পড়ানোর সিদ্ধান্ত। 'স্কুল শিক্ষা দফতরের অনুমোদন ছিল না।' বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনকে অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী। 


প্রাথমিক স্কুলে অঙ্ক এবং ইংরেজি পড়াবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। এই মর্মে গত ১৮ জানুয়ারি, বাঁকুড়ার জেলাশাসককে চিঠি লিখেছেন পুলিশ সুপার। বাঁকুড়া পুলিশের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। দেড়শো জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে চিহ্নিত করে ফেলেছে জেলা পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, খাতড়া সাব ডিভিশনের ৫ টি থানার অন্তর্গত ৪৬টি স্কুলের প্রতিটিতে ২ জন করে সিভিক ভলান্টিয়ারকে পাঠানো হবে।


স্থগিত সিভিক ভলান্টিয়ারদের স্কুলে পড়ানোর সিদ্ধান্ত: গতকাল এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পর রাজ্যজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। একজোট হয়ে শাসক দলকে তুলোধনা করেন বিরোধীরা। স্কুলে নিয়োগ নেই বহুদিন ধরে। নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে বাতিল হচ্ছে বহু চাকরি। সেই জায়গায় নিয়োগের পরিবর্তে কেন সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে পড়ানোর সিদ্ধান্ত? তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। প্রবল বিতর্কে মুখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল আপাতত এই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী জানাচ্ছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের কোনও অনুমোদন নেয়নি বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। গতকাল খবর সামনে আসতেই শিক্ষা দফতরের সচিব মণীশ জৈন জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করে। কেন অনুমোদন নেননি তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনকে অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। 


স্পষ্টতই, সরকারের তরফে এই প্রকল্প বাতিলের কথা বলা হয়নি। স্কুল শিক্ষা দফতরের অনুমোদন নেওয়া হয়নি কেন? সেই প্রশ্নের উত্তর যেমন জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে আবেদন করতে হবে। সেই আবেদন পর্ষদের কাছে যাবে। পর্ষদের যে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল আছে সেই কাউন্সিল যদি মনে করে তারা সিদ্ধান্ত নেবে, তারপর তা লাগু হবে।  


কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী?


গতকাল স্থানীয় স্তরে বাঁকুড়ার এসপি এবং ডিএম এই মর্মে সিদ্ধান্ত নেন। বিভাগীয় সচিবের থেকে জানতে পেরেছি আমাদের দফতরে এই ধরনের কোনও অনুমোদন নেই। বিভাগীয় সচিব ওঁদের বলেছেন আমাদের কাছে অনুমোদন চেয়ে পাঠাতে। আমরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে যে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল আছে, সেখানে পাঠাব। তারা অনুমোদন দিলে ভাবা যেতে পারে। পড়ানো যায় কিনা তা নিয়ে আমি কথা বলতে পারি না। 


আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: বাংলা ছাড়ার আগে কেষ্টর সঙ্গে প্রাতরাশ, তৃণমূল নেতা-সহ ৩ জনকে দিল্লিতে তলব ইডি-র