সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: জমিকে (land) কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ (clash) উত্তর দিনাজপুরের (north dinajpur) চোপড়া থানায় ফাতিয়াবাদ গ্রামে। পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েকজন জখমও (injured) হয়েছেন। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সংঘর্ষের সূত্রপাত...
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, এদিনের অশান্তির কেন্দ্রীয় চরিত্র ফাতিয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা বসিরউদ্দিন এবং সাব্বির আলম। স্থানীয়দের একাংশ জানাচ্ছেন, রাস্তার ধারের একটি জমিকে কেন্দ্রে দুজনের মধ্যে প্রথমে বচসা বাধে। কিন্তু তার পর হঠাতই উত্তেজনা বেড়ে যায়। তর্কাতর্কি, বচসা আচমকাই সংঘর্ষের চেহারা নেয়। তার মধ্যে পড়ে জখম বেশ কয়েক জন। তাঁদের উদ্ধার করে চোপড়া দোলুয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পৌঁছে যায় পুলিশবাহিনী। তারাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে দুই পক্ষই একে অন্যের দিকে আঙুল তুলছে।
নতুন নয় জমি-বিবাদ
গত সেপ্টেম্বরেও কার্যত এক ছবি দেখা গিয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের ভাতুনে। সে বারও জমি ঘিরে দুই পড়শির বিবাদ সংঘর্ষের চেহারা নেয়। তাতে এক জন মারা যান, আহত হন পাঁচ জন। ঝলসে গুরুতর আহত হন ২ মহিলা। অভিযোগ উঠেছিল, আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালানো হয়েছে। মূল অভিযুক্তেরা অবশ্য সংঘর্ষের পরই আত্মগোপন করে। কিন্তু সে বারও একই রকম উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এলাকায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশি টহলও চলে।
কিন্তু পরিস্থিতিটা বচসা থেকে হিংসাত্মক সংঘর্ষ পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই কেন সতর্ক হওয়া গেল না? কেন আগেই দুপক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারল না পুলিশ? তবে কি যথেষ্ট সচেতন নয় প্রশাসন? প্রকাশ্যে না হলেও এই প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই। যার উত্তর আপাতত নেই। তবে রক্ত বয়েই চলেছে। এদিনের ঘটনাতেও তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় ফাতিয়াবাদ গ্রামে। পরে পুলিশ পৌঁছলে কিছুটা স্বাভাবিক হয় অবস্থা।
আরও পড়ুন:কিছুটা কমলেও, রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ আড়াই হাজারের ওপরেই