কমলকৃষ্ণ দে, শক্তিগড়: বড়শুলে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে করাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও সিপিএমের সংঘর্ষের ঘটনায় ৯ জন গ্রেফতার । গতকাল মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বড়শুল। সিপিএম প্রার্থীদের গাড়ি আটকানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। এরপর পুলিশকে মাঝখানে রেখে দু’পক্ষের মধ্যে ইটবৃষ্টি শুরু হয়, লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরের দিকে তেড়ে যান দুই দলের কর্মীরা। শক্তিগড় থানার ওসি-সহ পুলিশ কর্মীরা আহত হন। সংঘর্ষে আহত হন সিপিএম ও তৃণমূল কর্মীরাও। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলে।তৃণমূলের হামলা এবং ইটবৃষ্টিতে, জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন সিপিএম কর্মী। আহত হন, একাধিক পুলিশকর্মীও। পাল্টা, আক্রমণের পথে হাঁটে সিপিএমও। এই ঘটনায়, কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শক্তিগড়ের বড়শুল। সোমবার দুপুরে, একাধিক গাড়িতে বর্ধমান ২ নম্বর বিডিও অফিসে পঞ্চায়েতের মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসছিলেন, সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা।
অভিযোগ, তাঁদের গাড়ি, শক্তিগড়ের বড়শুল মোড়েআসতেই ট্রাক্টর দিয়ে রাস্তা আটকে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের গাড়ি লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু ইটবৃষ্টি করে তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের বেশিরভাগের মুখই ছিল কাগড়ে ঢাকা। হামলার মুখে প্রথমে পিছু হঠে সিপিএম। ইটবৃষ্টি চলাকালীনই পুলিশের একটি গাড়ি আসে। গাড়ি থেকে নেমে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের দিকে এগিয়ে যান পুলিশ কর্মীরা। পুলিশের সামনেই, সিপিএম কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। এরপরই, পাল্টা সিপিএম ঝান্ডার-ডান্ডা নিয়ে ভাঙচুর চালায়, বেশ কয়েকটি বাইকে। সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের আক্রমণের মুখে পিছু হঠেন তৃণমূলের কর্মীরা।সিপিএমের দাবি, এরপরই পুলিশ-প্রশাসনের তরফে তাঁদের মঙ্গলবার এসে মনোনয়ন জমা করতে বলা হয়।
এদিকে গতকাল, মনোনয়ন পর্বের তৃতীয় দিনে,উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয়তুমুল অশান্তি হল। বাদ গেল না মারামারি! রক্তারক্তি। সিপিএমের পার্টি অফিস ঘেরাও করে,লাঠি হাতে চলল তাণ্ডব। ভাঙচুর করা হল বাইক। মাথা ফাটল এক সিপিএম নেত্রীর।হামলার মুখে মনোনয়নই দিতে পারলেন না সিপিএম প্রার্থীরা। অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েও চলে দাপাদাপি। আতঙ্কে পার্টি অফিসের ভিতরে ঢুকে পড়েন সিপিএম কর্মীরা।
আরও পড়ুন: Food Tips: পাতে কোন পেয়ারা? কাঁচা না কি পাকা? কোনটায় বেশি উপকার?