আশাবুল হোসেন, দার্জিলিং : পাহাড়ি পথ ধরে হাঁটা, শৈলশহরের মানুষকে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি, টাপুর টুপুর বৃষ্টিতে ফুচকা বানানো আর সফরের তৃতীয় দিনে কবি ভানুভক্তের জন্মদিনে ( Nepali poet Bhanubhakta Acharya)  ছোটদের সঙ্গে মিশে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী ( Mamata Bandyopadhyay)। গুরুপূর্ণিমার সকালে পাহাড়বাসীকে জানালেন শুভেচ্ছা। বললেন, আজ গুরুপূর্ণিমা, সব গুরুদের প্রণাম,সেলাম ! 



নেতা তিনিই হন, যিনি মাটি থেকে উঠে আসেন : মমতা
বুধবার কবি ভানু ভক্তের জন্মদিন। এদিন দার্জিলিং-এর প্রাণকেন্দ্র মলে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভেদাভেদ ভাব ত্যাগ করতে বার্তা দিয়েছিলেন ভানু ভক্ত। বাংলার সঙ্গে গভীর যোগ পাহাড়ের। যাঁরা মানবিক, তাঁরা কখনও ভেদাভেদ করেননি। নেতা তিনিই হন, যিনি মাটি থেকে উঠে আসেন’। 

আরও পড়ুন :


কোলে তুলে আদর, চকোলেট বিলি, পাহাড়ে কচিকাঁচাদের মধ্যে মমতা



গুরুপূর্ণিমায় মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা 
গুরুপূর্ণিমায় স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় গুরুজনদের কাছে প্রণত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ' আমি গুরু পূর্ণিমার এই শুভ দিনে গুরুজন এবং আগামী প্রজন্ম অর্থাৎ শিশুদের উৎসর্গ করছি। ' 

শিশুদের সান্নিধ্যে মুখ্যমন্ত্রী
এদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে জনসংযোগ সারেন। সকাল ১০টা নাগাদ তিনি প্রাতঃভ্রমণে বের হন। জাকির হুসেন রোড, নেহরু রোড ধরে হাঁটতে শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারমধ্যেই সারেন স্থানীয়দের সঙ্গে কথোপকথন। কোথাও শিশুদের আদর করলেন। তাদের হাতে চকোলেট তুলে দিলেন। কোথাও সবজির দোকানে গিয়ে খোঁজ নেন দামের। কোথাও আবার পর্যটকদের সেলফি তোলার আবদার মেটান। 

হাঁটতে হাঁটতেই মুখ্যমন্ত্রীর চোখে পড়ে বিবর্ণ অবস্থায় পড়ে রাজভবনের পাশে গাঁধী মূর্তি।  অযত্নে পড়ে থাকা ওই স্ট্যাচু  রং করে নিয়মিত যত্ন নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। সেইসঙ্গে গাঁধী মূর্তির পাশে নেতাজির একটি মূর্তি স্থাপনের নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। দার্জিলিঙে অন্য মেজাজে পাওয়া গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দার্জিলিংয়ের ক্যাফে হাউসের উদ্বোধনে গাইলেন গান। পাশাপাশি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ঢুকে পড়লেন ফুচকার দোকানে। নিজের হাতে ফুচকা বানিয়ে খাওয়ালেন ছোটদের। পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন বাংলাদেশ থেকে আসা এক পর্যটক। রাস্তার ধারে এভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে ফুচকা বানাতে দেখে হতবাক তিনি!