আশাবুল হোসেন, দার্জিলিং: রাজনৈতিক কচকচানি নেই, নেই তর্ক-বিতর্ক। পাহাড় সফরে তাই অন্য মেজাজে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কখনও ফুচকার স্টল দেখে দাঁড়িয়ে পড়লেন, নিজে হাতে বানিয়ে সকলকে ফুচকা খাওয়ালেন। কখনও আবার কফি হাউসের মনোরম পরিবেশে মিশে গেলেন। এ বার শিশুদের মধ্যে চকোলেট বিলি করতেও দেখা গেল তাঁকে। 


পাহাড়ে অন্য মেজাজে মমতা


উত্তরবঙ্গ (North Bengal) সফরে গিয়ে বুধবার সকালে পাহাড়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরোন মমতা। সকাল ১০টা নাগাদ নিরাপত্তারক্ষী এবং সহযোগীদের সঙ্গে নিয়েই বেরোন তিনি। জাকির হুসেন রোড ধরে হাঁটতে শুরু করেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত আর পায়ে হেঁটেই জনসংযোগ সারতে দেখা যায় তাঁকে। 


এ দিন টানা দু'ঘণ্টা এই রাস্তা, ওই রাস্তায় হাঁটেন মমতা। তাঁকে দেখতে ভিড় জমে যায় সর্বত্র। ছেলেমেয়েকে কোলে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন বড়রাও। কাছে এগিয়ে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতে যান। মমতাকে দেখে বাড়ির ছাদ থেকেও হাত নাড়েন সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ তড়িঘড়ি নেমে আসেন সন্তান-সন্ততিকে নিয়ে। দুই শিশুকে কোলেও তুলে নেন মমতা। কৌটোভর্তি চকোলেট কচিকাঁচাদের মধ্যে বিলি করেন। সাধারণ মানুষকে এ দিন গুরু পূর্ণিমার শুভেচ্ছাও জানান মমতা। 




এক শিশুকে কোলে নিয়ে মমতা


আরও পড়ুন: Dlip Ghosh: তৃণমূল থেকেও দ্রৌপদীর সমর্থনে ভোট! ক্রসভোটিংয়ের জল্পনা উস্কে দিলেন দিলীপ


এর পর হাঁটতে হাঁটতে নিত্যপণ্য এবং শাক-সবজির দোকানেও গিয়ে হাজির হন মমতা। জিনসপত্রের কত দাম, আগে কত ছিল, এখন কত বেড়েছে, এসব জানতে চান ব্যবসায়ীদের কাছে। আলু-পেঁয়াজ কোথা থেকে আসে, পাহাড়ে চাষবাসের কী অবস্থা খুঁটিয়ে জানতে চান। লোকজনের নিজস্বী তোলার আবদারও মেটান মমতা। 


এ দিন হাঁটতে হাঁটতেই রাজভবনের পাশে গাঁধী মূর্তির বিবর্ণ রূপ চোখে পড়ে মমতার। মূর্তিটি অযন্তে পড়ে রয়েছে, দেখতে পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মূর্তি রং করে নিয়মিত যত্ন নেওয়ার নির্দেশ দেন। এমনকি ওই মূর্তির পাশে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর একটি মূর্তি বসানোরও নির্দেশ দেন। 


ফুচকা বানানো থেকে চকোলেট বিলি, নানা মেজাজে ধরা দিলেন মমতা


এর আগে, পাহাড়ের রাস্তায় ফুচকা বানিয়ে সকলকে খাওয়াতে দেখা যায় মমতাকে। মঙ্গলবার জিটিএ-র শপথগ্রহণে অংশ নেন তিনি। তার পর বেরিয়ে এক ফুটকার স্টল চোখে পড়ে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে নিজেই ফুচকা বানিয়ে ছোটদের খাওয়াতে শুরু করেন তিনি।