পাঁচলা: পঞ্চায়েত ভোটের (panchayat election) আগে হাওড়ার (howrah government program) পাঁচলায় সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে হাজির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বললেন, '৯০০-র বেশি প্রকল্পের শিলান্যাস হল আজ (stone breaking)। দুয়ারে সরকারে ৯ কোটি দরখাস্ত এসেছিল। তার মধ্যে ৭ কোটিরও বেশি দেওয়া হয়ে গেছে। আজ ৬ লক্ষ মানুষের কাছে সরাসরি পৌঁছবে পরিষেবা। কোনও জেলা যাতে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেই জন্যই এই ব্যবস্থা।' 


পরিষেবার পরিসংখ্যান...
এদিন সরকারি পরিষেবার বিস্তারিত পরিসংখ্যান দিতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। বলেন, 'বলাগড়ে পর্যটন কেন্দ্র করা হয়েছে। সাগর হাসপাতালে নতুন ক্যানসার ভবন চালু হল। ২০৮ টি পানীয় জল প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছে।' তাঁর আশ্বাস, ২০২৪ সালের মধ্যে সব বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতেই শেষ নয়। 'বানতলায় চর্মশিল্পের নতুন ৩টি ইউনিট তৈরি হয়েছে,  বানতলার চর্মশিল্পে ৩ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে', বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কথায় কথায় মনে করান, এক সময় এই জেলাকে প্রাচ্যের ম্যাঞ্চেস্টার বলা হত। কিন্তু বাম আমলে সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে, অভিযোগ তাঁর। তবে জেলার মানুষের কাছে তাঁর বার্তা, 'আমরা আমাদের সচিবালয় হাওড়া জেলার মধ্যে এনেছি। আপনাদের এতে গর্বিত হওয়া উচিত।' তাঁর দাবি, ' হাওড়ার ৯৫ শতাংশ মানুষকে কিছু না কিছু পরিষেবা দিয়েছি।' শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, প্রতি ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত, চলতে থাকা এবং কাজ শেষ এমন একাধিক প্রকল্পের বিশদ খতিয়ান পেশ করেন তৃণমূলনেত্রী।

হালেই প্রচার ত্রিপুরায়...
এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের পাশাপাশি ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট। দুটি ক্ষেত্রেই জোরাল প্রচারে নেমেছেন মমতা। হালে ত্রিপুরায় বলেন,  'ত্রিপুরার মাতাবাড়ি মন্দিরে গত কয়েক বছর কোনও কাজ হয়নি, দক্ষিণেশ্বর গিয়ে দেখুন। কালীঘাটেও কত কাজ হচ্ছে। বাংলায় স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন'। 'বাংলা অনেক এগিয়ে গিয়েছে'। 'ভোটের আগে যা বলেছি, করে দেখিয়েছি'। 'বাংলায় সরকার মানুষের দুয়ারে এসে ক্যাম্প করছে'। 'বাংলায় মেডিক্যাল কলেজে যান, চিকিৎসার পয়সা লাগে না'। 'বাংলায় ফেয়ারপ্রাইস মেডিক্যাল শপে ওষুধের দামে ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাড়'। 'দেশে ডবল ইঞ্জিনের আমলে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে, রাজ্যে তা কমেছে'। 'নৃপেন চক্রবর্তীকে আমি শ্রদ্ধা করি, উনি আমায় ডেকেছিলেন'। 'অনেক দুঃখের কথা নৃপেনবাবু আমায় বলেছিলেন'। 'সিপিএম এখন কংগ্রেসের বি টিম''ডবল ইঞ্জিন ভয় দেখালে, চুপ করে যেখানে ভোট দেওয়ার দেবেন'। 'ভোটের পর আবার আসব, ডবল, না সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকার হয়, দেখব'। 'রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা না করতে পারলে, ইডি-সিবিআই ঢোকাচ্ছে'। 'এলআইসি ডুবে গেলে, টাকা ফেরত পাবেন তো?'। 'তৃণমূল (TMC) এখন মহীরুহ, অত সহজে তাকে পিষে ফেলা যাবে না'। 'দেখুন ২০২৪-এ কী হয়, ডবল ইঞ্জিন, না সিঙ্গল ইঞ্জিন, না মানুষের ইঞ্জিন'। 
এবার নিজের রাজ্যেও উন্নয়নের খতিয়ান পেশ মমতার।


আরও পড়ুন:'পঞ্চায়েত নির্বাচনে শিক কাবাব তৈরি করবে আমাদের ছেলেরা,' ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মদনের