পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: ভয়াবহ আগুনে (Dangerous Fire) ভস্মীভূত একশো দিনের কাজের প্রকল্পে (MGNREGA) তৈরি ফলের বাগান (Fruit Garden)। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) ছাতনা থানার ফপসা মেট্যালা এলাকায়। হঠাৎ এমন অগ্নিকাণ্ড ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।


যা জানা গেল...
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে সরকারি একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ছাতনা থানার ফপসা মেট্যালা সড়কের পাশে পতিত জমিতে ফলের বাগান তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতই ওই উদ্যোগ নিয়েছিল। বাগানটিতে আম, ড্রাগন ফ্রুট, পেয়ারা ছাড়া-ও পরীক্ষামূলক ভাবে বেশ কিছু আপেলের চারা লাগানো হয়েছিল। উৎপাদন এখনও শুরু না হলেও গাছগুলি বেশ বড় হয়ে উঠেছে। এর মাঝে গত কাল দুপুরে আচমকা বাগানের নিচের অংশে থাকা শুকনো ঘাসে আগুন ধরে যায়। একশো দিনের কাজের প্রকল্পের সুপারভাইজার সেই আগুন নিভিয়েও ফেলেন। কিন্তু ফের গত কাল রাতে ওই বাগানে আগুন লেগে যায় বলে খবর। লেলিহান শিখা দেখে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় দমকলেও। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই অধিকাংশ ফলের গাছ আগুনে ঝলসে যায়। বাগানের দায়িত্বে থাকা একশো দিনের কাজের প্রকল্পের সুপারভাইজারের অবশ্য দাবি, বাগানে কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃতভাবে ওই আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু কেন এরকম হবে? উত্তর স্পষ্ট নয়। আতঙ্কে স্থানীয়দের একাংশ।


নানা প্রান্তে আগুন...
এ রাজ্যে অগ্নিকাণ্ড একেবারে বিরল ঘটনা নয়। গত ডিসেম্বরেই যেমন ট্যাংরায় প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। চারপাশে ঘন জনবসতি থাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। কীভাবে আগুন লাগল, তা বহুক্ষণ স্পষ্ট হয়নি। তার আগে গড়িয়ার জনবহুল এলাকায় ভয়ঙ্কর আগুন লাগে। আগুনের গ্রাসে চলে যায় আস্ত একটি বাড়ি। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। ভোরবেলা এই আগুন লাগে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ  গড়িয়ায় স্টেশনের কাছে  তেঁতুলবেড়িয়া এলাকায় আগুন লাগে। বাড়িতে কেউ থাকেন না বলেই খবর। বিধ্বংসী এই আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নাকানিচোবানি খেতে হয় দমকলকর্মীদের। নভেম্বর মাসে টেরিটি বাজারে তিনতলা বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রোমোটিং যোগের কারণে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ১২০ বছরের পুরনো বাড়িটির এমনিতেই ভগ্নদশা, অগ্নিকাণ্ডের পর আরও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে বাড়িটি। এই অবস্থায় বাড়ির সদর দরজা বন্ধ করে দেয় পুলিশ, যাতে কেউ বিপজ্জনক বাড়িটিতে ঢুকতে না পারেন। শতাধিক বছরের পুরনো এই বাড়িটির তিনতলায় আগুন লাগে। ঝুঁকি নিয়ে জীর্ণ বাড়িতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার লড়াই চালান দমকলকর্মীরা। রাত ৯টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।


আরও পড়ুন:'আশা করব বাংলাকে প্রাপ্য টাকা দ্রুত পরিশোধ করবে কেন্দ্র' : রাজ্যপাল